সারা বাংলা

এখনো দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনের বগিতে আটকা অনেক যাত্রী

কিশোরগঞ্জের ভৈরব জংশনের কাছাকাছি গাইনাহাটি এলাকায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৫০-৬০ জন যাত্রী। দুর্ঘটনার খবর জানার পরপরই ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছেন যাত্রীবাহী ট্রেনটিতে থাকা যাত্রীদের স্বজনরা। তাদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে সেখানকার পরিবেশ। এদিকে, হতাহতদের উদ্ধারে বেগ পেতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসসহ সংশ্লিষ্টদের। তাই উৎসুক জনতাকে মাইকিং করে ঘটনাস্থল থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করছে প্রশাসন।  

আরও পড়ুন: ভৈরবে যাত্রীবাহী ট্রেনকে মালবাহী ট্রেনের ধাক্কা, নিহত ২০ 

ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানিয়েছে, এখনো অনেক যাত্রী আটকা পড়ে আছেন দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনের বগিতে। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা শতাধিক হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হতাহতদের উদ্ধারে র‍্যাবের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট কাজ করছে। আহতদের ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ঢাকা থেকে বিশেষ উদ্ধারকারী দল ও রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ঢাকা-সিলেট-চট্টগ্রাম ও ময়ময়নসিংহ রুটে রেল যোগাযোগ বন্ধ

সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ভৈরব জংশনের কাছাকাছি গাইনাহাটি এলাকায় কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী ‌‘এগার সিন্ধুর গোধুলী’ ট্রেনটিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কন্টেইনারবাহী একটি ট্রেন ধাক্কা দেয়। এতে যাত্রীবাহী ট্রেনের তিনটি বগি লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। ধারণা করা যাচ্ছে, তিনটি বগিতে ১৮০ আসনের বিপরীতে স্ট্যান্ডিং যাত্রীসহ কমপক্ষে ২৫০ জন যাত্রী ছিলেন।  

পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মালবাহী ট্রেনটি ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। একইসময় ভৈরব থেকে ঢাকায় যাচ্ছিল যাত্রীবাহী ট্রেন। ভৈরব রেলস্টেশনের আউটার পয়েন্টে ক্রসিংয়ে যাত্রীবাহী ট্রেনের শেষ তিন বগিতে ধাক্কা দেয় মালবাহী ট্রেনটি। ধারণা করা হচ্ছে, সিগনাল জটিলতার কারণে ঘটনাটি ঘটেছে।

ভৈরব বাজার ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার রাসেল বলেন, কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী এগার সিন্ধুর গোধুলী ট্রেনকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কন্টেইনারবাহী একটি ট্রেন ধাক্কা দেয়। আমরা বিকেল ৪টার দিকে দুর্ঘটনার খবর পাই। আহতদের উদ্ধারে ঘটনাস্থলে কাজ করছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।