সারা বাংলা

নিষেধাজ্ঞা আশীর্বাদ হয়ে এসেছে জেলেদের জন্য

ঘূর্ণিঝড়ের সময় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হন জেলেরা। প্রাণহানিও ঘটে জেলেদেরই বেশি। গভীর সমুদ্রে মাছ শিকাররত অবস্থায় যথাসময়ে জেলেদের কাছে বিপদ সংকেত না পৌঁছানো এবং বিপদ সংকেত পৌঁছানোর পর তীরে ফিরে আসার সুযোগ না পাওয়ায় ট্রলার নিয়ে মাঝসমুদ্রে দুর্ঘটনা শিকার হতে হয় জেলেদের।

বঙ্গোপসাগরে চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) রাতে অথবা বুধবার (২৫ অক্টোবর) ভোরের দিকে উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা রয়েছে ঝড়টির। এ অবস্থায় উপকূলবাসীকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে চলেছে প্রচার। 

ইলিশ ধরা অথবা সংরক্ষণে উপকূল জুড়ে সরকারের জারি করা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার কারণে সমুদ্রে থেকে মাছ শিকার বন্ধ করে তীরেই অবস্থান করছেন জেলেরা। তাই মৎস্যজীবীরা বলছেন, ২২ দিনের এই নিষেধাজ্ঞা তাদের কাছে আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। 

বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, নিষেধাজ্ঞার থাকার কারণে গত ১২ অক্টোবর থেকে উপকূলে অবস্থান করছেন সব জেলেরা। তাই, নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, সমুদ্রে কোনো ট্রলার অবস্থান করছে না। ঘূর্ণিঝড়ে জেলেদের ক্ষতির কোনো সম্ভাবনা নেই। 

বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, অতীতের তুলনায় চলতি বছর মা ইলিশ রক্ষার কার্যক্রমটি বেশ কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। জেলেরা জাল ও নৌকা নিয়ে নদীতে নামলেই ধরা পড়ছে মৎস্য বিভাগ, কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ কিংবা স্থানীয় প্রশাসনের হাতে। তাই নদী ও সমুদ্রে নামার সাহস পাচ্ছেন না তারা। এ কারণে নদী কিংবা সমুদ্রে কোনো জেলে নেই। ঘূর্ণিঝড় হামুন-এ সম্পূর্ণ নিরাপদ জেলেরা।