শেরপুরে রোববার (২৯ অক্টোবর) সকাল-সন্ধ্যা হরতালে বিএনপি মাঠে ছিল না। তবে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সকালে শহরে শান্তি মিছিল বের করা হয়। পরে শহরের নিউ মার্কেট মোড়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছানুয়ার হোসেন ছানুর নেতৃত্বে এ শান্তি সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির ডাকা হরতালে বিএনপি মাঠে না থাকায় শহরের সকল প্রকার যান চলাচল স্বাভাবিক আছে। এবং দোকানপাঠ খোলা। এ ছাড়া সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক-বীমা ও অফিস পাড়ায় হরতালের প্রভাব পড়েনি। সবখানে স্বাভাবিক কাজকর্ম চলেছে। কিছু কিছু এলাকায় ছাত্রলীগের সদস্যদের মোটরসাইকেলে মহড়া দিতে দেখা গেছে।
জেলাজুড়ে বিএনপি ও জামায়াতের অনেক নেতাকর্মীকে আটকের খরব পাওয়া গেছে। তবে এই ব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। শ্রীবরদী থানায় বেশ কয়েকজনকে আটক করা অভিযোগ পাওয়া গেছে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাইয়ুম খান সিদ্দিক কে ফোনে এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে পরে বিস্তারিত জানাবেন বলে সাংবাদিকদের জানান।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাতে বাস কোচ মালিক সমিতি থেকে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস চলাচলের ঘোষণা দেওয়া হলেও বেশিরভাগ মালিক-শ্রমিক রাস্তায় বাধাগ্রস্ত হওয়ার ভয়ে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছিল। নবীনগর বাসস্ট্যান্ড থেকে শেরপুর থেকে ঢাকাগামী বাস ছেড়ে যায়নি। বাসস্ট্যান্ডে কাউন্টার খোলা থাকলেও দেখা মেলেনি না যাত্রীর। এ কারণে অলস সময় কাটান পরিবহন শ্রমিকরা। একচিত্র দেখা গেছে নতুন বাস টার্মিনালে। সেখান থেকে আন্তঃজেলা রুট সহ ঢাকায় কোনো বাস ছাড়েনি। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রী সংকট অনেকটা কেটে যায়।
অনেক পরিবহন শ্রমিক ও মালিকরা বলছেন, বাস চলাচলের সিদ্ধান্ত মালিক সমিতি নিলেও কিছু মালিক গাড়ি ভাঙচুরের ভয়ে ছিলেন। অনেক শ্রমিক এই হরতালে গাড়ি নিয়ে বের হতেও ভয় পান।