২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে নদী থেকে ইলিশ মাছ নিয়ে চাঁদপুর বড়স্টেশন মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ট্রলার নিয়ে ফিরতে শুরু করেছেন জেলেরা। ফলে মাছ বেচাকেনায় সরগরম হয়ে উঠেছে এই অবতরণ কেন্দ্রটি। ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ এবং বিরোধী দলীয় হরতাল অবরোধ না থাকায় দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় এ মাছঘাটে আড়তদার ও ক্রেতাদের মাঝে কর্মচাঞ্চল্য লক্ষ্য করা যায়।
চাঁদপুর অঞ্চলের নৌ পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান বলেন, নদ-নদী ও সমুদ্রে মা ইলিশের প্রজনন নিশ্চিত করতে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। গত ১২ অক্টোবর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। নিষেধাজ্ঞা শেষে চাঁদপুরের জেলেরা মাছ ধরতে পদ্মা-মেঘনাসহ বিভিন্ন নদীতে বেরিয়ে পড়েন।
বড় ষ্টেশনের মাছ ব্যবসায়ী আ. খালেক বেপারি বলেন, এবার অভিযান সফল হওয়ায় স্টকে মাছ রাখার সুযোগ পায়নি কেউ। তবে এখনো অনেক ইলিশ মাছের পেটেই ডিম রয়ে গেছে। বর্তমানে এক কেজি ওজনের ইলিশ ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া ৭০০-৮০০ গ্রামের ইলিশ ১ হাজার থেকে ১১০০ টাকা। আর দুই কেজি ওজনের ইলিশ ২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে, পদ্মা-মেঘনার ইলিশ কেজিতে সবসময়ই ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কম-বেশির মধ্যে দরদাম হয়।
শনিবার (৪ নভেম্বর) ভোর থেকেই নৌকা ও ট্রলার নিয়ে বড়স্টেশন মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে আসতে দেখা যায় জেলেদের। ট্রলার থেকে নামানোর পর আড়তদারদের ইলিশ মাছ স্তূপ করে সাজিয়ে রাখতে দেখা যায়। পরে নিলামের মাধ্যমে খুচরা ও পাইকারি ক্রেতারা এসব ইলিশ আড়তদারদের কাছ থেকে কিনে নেন।
তৌহিদুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা বলেন, ইলিশের দাম কমছে না। গতকালকেও দাম যা ছিল, আজও তাই। নিষেধাজ্ঞার আগে মাছের দাম বরং কম ছিল। এখন প্রতি কেজি পদ্মার ইলিশের দাম ২০০-৩০০ করে বেড়েছে। বাজার মনিটরিং দরকার।
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. শবেবরাত সরকার বলেন, অভিযান শেষের পর থেকে গত দুই দিন ঘাটের বিভিন্ন আড়তে ৫ থেকে ৬ মণ ইলিশের আমদানি হচ্ছে। যার অধিকাংশ ছোট মাছ। তবে পদ্মার ইলিশের চাইতে মেঘনার ইলিশই বেশি আসছে। তাই পদ্মা থেকে পাওয়া আকারে বড় সাইজের ইলিশগুলোতে দাম আগের তুলনায় কেজিতে ১৫০-২০০ টাকা বেড়েছে। তবে কয়েকদিন সময় অতিবাহিত হলে নদীতে ইলিশের বিচরণ বাড়লে দাম কমবে।