দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ প্রকল্প উদ্বোধন করে কক্সবাজারের আইকনিক রেল স্টেশন থেকে ট্রেনে চড়ে রামু রেল স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখান থেকে তার রামু ক্যান্টনমেন্ট যাওয়ার কথা রয়েছে।
শনিবার (১১ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে আইকনিক স্টেশন থেকে রামুর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় ১৬ বগির বিশেষ ট্রেন। এসময় প্রধানমন্ত্রীর ট্রেনে চড়ার মুহূর্তটি উপভোগ করেছেন হাজারো জনতা। রেললাইনের পাশ দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে সাধারণ মানুষজন সরকার প্রধানকে অভিবাদন জানান।
চান্দেরপাড়ার ষাটোর্ধ্ব শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘জীবনের শেষ বয়সে এসে হলেও অন্তত কক্সবাজারে ট্রেন দেখলাম। নিজেকে সৌভাগ্য মনে হচ্ছে। রেলপথের কারণে কক্সবাজার আরও বেশি উন্নত হবে। আমাদের শহরে ট্রেন ব্যবস্থার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।’
কক্সবাজার সরকারি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রোহান ইবনুল সাঈম বলেন, ‘শাটল ট্রেনে চড়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্নপূরণ না হলেও কক্সবাজার থেকে দেশের যে কোনো প্রান্তে ট্রেন নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে একনজরে দেখতে চলে এলাম। প্রথম ট্রেন চলাচল উদ্বোধনে ট্রেনের ভেতর প্রধানমন্ত্রী আছে জেনে খুবই ভালো লাগছে। বাইর থেকে তাকে না দেখেও হাত নেড়ে অভিবাদন জানালাম।’
কক্সবাজার রেল স্টেশনে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রেলপথ প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘ডিসেম্বরেই কক্সবাজার-ঢাকা রুটে একটি ট্রেন আমরা বাণিজ্যিকভাবে চালাতে পারবো।’
তিনি আরও বলেন, এখনো ট্রেনের নাম ঠিক হয়নি। ৬টি সম্ভাব্য নাম প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে। এই ৬ নামের মধ্যে যেটি প্রধানমন্ত্রীর পছন্দ হবে সেই নামই হবে। অথবা প্রধানমন্ত্রী অন্য কোনও নাম দিলে সেটি আমরা রাখবো।