সারা বাংলা

হ‌ুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন আজ

নন্দিত কথাসাহিত্যিক হ‌ুমায়ূন আহমেদের ৭৬তম জন্মদিন আজ। ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। জন্মদিন উপলক্ষে হ‌ুমায়ূন আহমেদের নিজ হাতে গড়া নুহাশপল্লীতে নানা আয়োজন রাখা হয়েছে।

নুহাশপল্লীর ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম বুলবুল বলেন, হুমায়ুন স্যারের সবচেয়ে প্রিয় যায়গা ছিল নুহাশপল্লী। লেখালেখির জন্য এখানে আসতেন, নাটকের শুটিংয়ের জন্য আসতেন। বন্ধুদের নিয়ে এসে আড্ডা দিতেন। মাসে ৮-১০ বার নুহাশপল্লীতে আসতেন তিনি। তার হাতে লাগানো বৃক্ষ ও ঔষধি গাছগুলো এখনো রয়েছে।

লেখক ও সাংবাদিক ফারদিন ফেরদৌস বলেন, বাংলা সাহিত্যে জনপ্রিয়তার নিরিখে আমাদের সময়ে দ্বিতীয় একজন হ‌ুমায়ূন আহমেদ এখন পর্যন্ত পাইনি। তরুণ প্রজন্মকে পাঠকমুখী করবার সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব হ‌ুমায়ূন আহমেদের। তার নির্মিত টেলিভিশন নাটক ও চলচ্চিত্র বাংলা শিল্প সংস্কৃতির আলাদা সম্পদ। 

১৯৭২ সালে প্রকাশিত হ‌ুমায়ূন আহমেদের প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ পাঠকমহলে খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ার পর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত উপন্যাস, ছোটগল্প, নাটক, চলচ্চিত্র পরিচালকসহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই জনপ্রিয়তার শীর্ষে ছিলেন তিনি।

তার চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় ‘আগুনের পরশমণি’, ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’, ‘দুই দুয়ারী’, ‘চন্দ্রকথা’, ‘শ্যামল ছায়া’, ‘নয় নম্বর বিপদ সংকেত’, ‘ঘেটুপুত্র কমলা’ দর্শকের মন জয় করছে। তার ধারাবাহিক টেলিভিশন নাটক ‘কোথাও কেউ নেই’, ‘নক্ষত্রের রাত’, ‘অয়োময়’, ‘আজ রবিবার’, ‘নিমফুল’, ‘তারা তিনজন’ ‘মন্ত্রী মহোদয়ের আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম’, ‘সবুজ সাথী’, ‘উড়ে যায় বকপঙ্খী’ এখনো মানুষকে সুস্থ বিনোদন দিয়ে চলছে।