নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলায় পুলিশ পরিচয়ে এক যুবদল নেতাকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে হাতুড়িপেটা করে হাত-পা ভেঙে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রোববার (১২ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার রামশাকাজিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী সজীব হোসেন (৩২) রামশাকাজিপুর হাজিপাড়া গ্রামের ওয়াজেদ আলীর ছেলে ও বিপ্রবেলঘরিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড শাখা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সজীব রামশাকাজিপুর ডা. নাছির উদ্দিন তালুকদার উচ্চবিদ্যালয়ের সামনের চায়ের স্টলে ক্যারাম খেলছিলেন। এসময় সাদা মাইক্রোবাসে হেলমেট পরা ৬-৭ লোক সেখানে আসেন। তারা নিজেদের পুলিশ পরিচয়ে সজীবকে মাইক্রোবাসে তুলে নেন। পরে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে তার হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয়। অচেতন অবস্থায় আধা কিলোমিটার দূরে নলডাঙ্গার একটি সড়কের পাশে তাকে ফেলে দুর্বৃত্তরা চলে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নলডাঙ্গার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। স্বজনেরা সেখানে গিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য সজীবকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
আবদুল করিম নামের এক পথচারী বলেন, অপরিচিত এক যুবককে রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখি। পরে আরও লোক জড়ো হলে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাই। যুবকটি হাত-পা নাড়াতে পারছিল না।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সজীব হোসেনের সঙ্গে আছেন তার ছোট ভাই সবুজ হোসেন। তিনি মুঠোফোনে রাইজিংবিডিকে বলেন, হাসপাতালে আনার পর এক্সরে করা হয়েছে। এতে দুই পা ও বাম হাতের হাড় ভাঙা ধরা পড়েছে।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কে বা কারা সজীব নামের একজনকে পিটিয়ে ফেলে রেখে গেছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাইনি।
পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে ওসি বলেন, পুলিশের কেউ এ ঘটনার সময় ওই এলাকায় যায়নি।