উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় মিধিলিতে পরিণত হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকাল ৬টায় মিধিলি পটুয়াখালীর পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
মিধিলির প্রভাবে কুয়াকাটা সংলগ্ন সাগর উত্তাল রয়েছে। সেই সঙ্গে দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। তাই দেশের চার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিসের পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত সকল মাছ ধরার ট্রলার সমূহকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। এদিকে, মিধিলি মোকাবিলায় বৃহস্পতিবার রাতে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের দরবার হলে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় জানানো হয়, জেলায় ৭০৩টি সাইক্লোন সেলটার, ৩৫টি মুজিব কিল্লা, ৮৭৬০ জন সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক, ৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা ও ৬শ মেট্রিক টন জিআর চাল মজুদ রাখা হয়েছে।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী বলেন, ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টিপাত আরও বাড়তে পারে। দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করতে পারে।