ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র প্রভাবে বরগুনায় ২০৫টি বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মিল্টন চাকমা শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) এতথ্য নিশ্চিত করেছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা অনুযায়ী সহায়তা করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
এদিকে, বরগুনা শহরে বিদ্যুৎ সংযোগ লাইন ঝড়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সন্ধ্যার পরপরই বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে।
অপরদিকে, বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে যাওয়া ১৮টি ট্রলারের সঙ্গে সন্ধ্যা পর্যন্ত যোগাযোগ করতে পারেনি মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতি। জানা গেছে, ওই ট্রলারগুলোতে ২৬০ জন জেলে রয়েছেন।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মিল্টন চাকমা রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘বরগুনা সদরে ৬১টি, আমতলীতে ১১টি, তালতলী ৫২টি, বামনায় ২০টি, পাথরঘাটায় ২০টি, বেতাগী ৪১টি বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যানদের সঙ্গে কথা বলে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হয়েছে।’
বরগুনার জেলা প্রশাসক মোহা. রফিকুল ইসলাম বলেন, মন্ত্রণালয়ে ৫০০ বান্ডিল ঢেউটিনের জন্য লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ আসলেই টিন বিতরণ করা হবে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে।
বাংলাদেশ মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, সাগর এখনো উত্তাল রয়েছে। সমুদ্রে থাকা জেলেদের সঙ্গে এখনো যোগাযোগ করতে পারেননি তারা।
তিনি আরও জানান, সাগর স্বাভাবিক হলে ট্রলার মালিক সমিতির দুটি উদ্ধারকারী ট্রলার সুন্দরবন ও সাগরে জেলেদের সন্ধানে বের হবে। তবে, এখনো ট্রলার ডুবির কোনো তথ্য পাইনি।