ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র প্রভাবে কুমিল্লায় পল্লী বিদ্যুৎ লাইনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে কয়েকটি গাছ উপড়ে পড়ছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দিনভর বৃষ্টি হয় কুমিল্লায়। সকাল থেকে ঝড়ো বাতাসের কারণে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অর্ধশতাধিক বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ে। কিছু জায়গায় খুঁটি উপড়ে পড়েছে। এছাড়াও, গাছ উপড়ে পড়ে শতাধিক স্থানে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কুমিল্লা সদরের উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় ঝড়ে টিনের চাল উড়ে গেছে। লালমাই উপজেলার ভুশ্চি বারাইপুর চৌমুহনীতে গাছ ভেঙে দোকানের ওপর পড়েছে। সদর দক্ষিণ উপজেলার একাধিক স্থানে বিদ্যুৎ পিলার ভেঙে গেছে। চৌদ্দগ্রাম উপজেলার পন্নারা গ্রামে বাড়ির দেয়াল ধ্বসে পড়েছে। তবে, এখনো এসব ঘটনায় কোনো হতাহত খবর পাওয়া যায়নি।
কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ১-এর অধীনে চান্দিনা, বরুড়া, দেবিদ্বার ও মুরাদনগর উপজেলা। রাত ৮টা পর্যন্ত এসব উপজেলায় কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নির্ধারণ করতে পারেনি সমিতি।
এই সমিতির প্রকৌশলী সোহরাব হোসেন জানান, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ১-এর অধীনে বিভিন্ন এলাকায় বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে যাওয়া এবং গাছ উপরে পড়ার কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এছাড়া, বুড়িচং উপজেলার দেবপুর থেকে জাতীয় গ্রিডের যে বৈদ্যুতিক সংযোগ এসেছে তার ওপরে গাছ উপড়ে পড়ে বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব সংযোগ মেরামতের কাজ করা হবে।
কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উপ- মহাব্যবস্থাপক মাহমুদুল হক জানান, কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ ২-এর অধীনে সদর-দক্ষিণ উপজেলা, সদর উপজেলার আংশিক, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা, লালমাই উপজেলা, বুড়িচং উপজেলা ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা। এসব এলাকায় রাত ৮টা পর্যন্ত যে খবর পাওয়া গেছে তাতে দেখা গেছে অন্তত ৪০টি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে। যে কারণে এই সমিতির আওতাধীন বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।