পাবনায় বাসে যাত্রী তোলা নিয়ে বিতর্কের জেরে জুবায়ের রহমান (২৫) নামে এক বাসের হেলপার ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছে।
সোমবার (২০ নভেম্বর) ভোর ৫টার দিকে পাবনা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের যাত্রী ছাউনির সামনে এ ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে।
এ সময় ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন ওই বাসের সুপারভাইজার জাকির হোসেন সুমন (৪০)। তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় মারুফ হোসেন শুভ (২৫) নামে অভিযুক্ত যুবককে চাকুসহ আটক করেছে পুলিশ।
নিহত হেলপার জুবায়ের রহমান পাবনা সদর উপজেলার গাছপাড়া খাঁপাড়া গ্রামের জাহিদুর রহমানের ছেলে।
আহত বাসের সুপারভাইজার জাকির হোসেন সুমন পাবনা সদর উপজেলার বড় দিকশাইল গ্রামের মীর আবু আহমেদের ছেলে।
আটক মারুফ হোসেন শুভ পাবনা পৌর সদরের আরিফপুর মহল্লার জিয়াউর রহমানের ছেলে।
আহত বাসের সুপারভাইজার জাকির হোসেন সুমন বলেন, ঢাকা-পাবনা রুটে চলাচলকারী মাছরাঙ্গা পরিবহনের বাসটি রোববার (১৯ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে গাবতলী বাসট্যান্ড এলাকা থেকে ছাড়ে। বাসটি চান্দুরা এলাকায় থামিয়ে যাত্রী তোলার সময় যাত্রী মারুফ হোসেন শুভ যাত্রী তুলতে নিষেধ করে৷ এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে যাত্রী শুভ বাসের সুপারভাইজারকে থাপ্পড় দেয়। এ সময় সেখানকার বাস শ্রমিকরা ওই যাত্রীকে চড় থাপ্পড় দেয়। তখন যাত্রী শুভ বাসের সুপারভাইজারকে পাবনা গেলে দেখে নেবে বলে হুমকি দেয়।
বাসটি ভোর ৫টার দিকে পাবনা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে এসে পৌঁছালে যাত্রী মারুফ হোসেন শুভ চাকু নিয়ে বাসের সুপারভাইজার ও হেলপারকে হামলা করে। এ সময় তার চাকুর আঘাতে বাসের হেলপার জুবায়ের রহমান ও সুপারভাইজার জাকির হোসেন সুমন আহত হয়। তাদের চিৎকারে বাসের অন্যান্য শ্রমিকরা শুভকে আটক করে এবং আহত দুইজনকে পাবনা জেলার হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক বাসের হেলপার জুবায়ের রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন। সুপারভাইজার জাকির হোসেন সুমনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও অভিযুক্তকে চাকুসহ গ্রেপ্তার করেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।