নোয়াখালীতে হুমায়ুন কবির মুকুল (৩৪) হত্যার প্রতিবাদ ও খুনিদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী।
নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) এ মানববন্ধন আয়োজন করা হয়। পরে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এসময় স্বজনরা ও এলাকাবাসী খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
নিহত হুমায়ুন কবির মুকুল দুই কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন। তিনি সদর উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের আব্দুল্লাহপুর গ্রামের আবদুল কাদেরের ছেলে। মুকুল বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড বিআরডিবির একটি বাড়ি-একটি খামার প্রকল্পে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় মাঠ সহকারী পদে কর্মরত ছিলেন।
নিহত মুকুলের বড় ভাই আবদুল মাবুদ পলাশ বলেন, ‘এলাকায় সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত থাকার সুবাদে বিভিন্ন সময় মাদক ও অসামাজিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে কথা বলতো মুকুল। কয়েক মাস আগে মাদক ব্যবসায়ী কালামের সঙ্গে তার বাকবিতন্ডা হয়। এর জেরে গত ১ অক্টোবর স্থানীয় সাহেবের হাট বাজারে মাদক ব্যবসায়ী কালাম, ওমর, সাহাব উদ্দিন, সবুজ, রুবেল ও তাদের মদদদাতা জাহাঙ্গীর মহাজনসহ সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। এতে মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।’
মানববন্ধনে নিহতের বাবা আবদুল কাদের, বড় ভাই আবদুল মাবুদ পলাশসহ স্বজনরা, স্থানীয় ইউপি সদস্য মাহবুবুর রহমান শিহাব, কলিম উদ্দিনসহ দেড় শতাধিক নারী পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। পুলিশের পাশাপাশি র্যাবও তদন্ত করছে। খুব দ্রুত তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হবে।’
উল্লেখ্য, গত ১ অক্টোবর সকালে সদর উপজেলার সাহেবের হাট পশ্চিম বাজারে নিহতের বাবা আবদুল কাদেরের সামনে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন হুমায়ুন কবির মুকুল। সন্ত্রাসী কালা মিয়া, ওমর, সাহাবউদ্দিন, সবুজের নেতৃত্বে এবং রুবেলের মদদে ৮/১০ জন সন্ত্রাসী মুকুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। আহত মুকুলকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠান। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়, সেখানে সিট খালি না থাকায় আজগর আলী মেডিক্যালে চিকিৎসা দেয়া হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে পুনরায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৭ নভেম্বর তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহত মুকুলের মা মমতাজ বেগম বাদী হয়ে ৬ অক্টোবর সুধারাম থানায় মামলা দায়ের করেন।