পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা-ভাঙ্গা-যশোর রেল লাইনের নড়াইল-লোহাগড়া অংশের কাজ প্রায় ৮০ ভাগ শেষের পথে। কাজ শেষের দিকে হওয়ায় ভীষণ খুশি এলাকাবাসী। প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে এই এলাকায় কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে কয়েক হাজার লোকের।
প্রকল্পটির বাস্তবায়ন হলে দেশের বৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল, বাণিজ্যিক শহর নওয়াপাড়া ও শিল্পাঞ্চল খুলনাসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের যোগাযোগে, এমনকি ভারতের পশ্চিমবঙ্গে যাতায়াতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে নড়াইল-লোহাগড়া রেল লাইন। শুধু যাত্রী নয়, পণ্য পরিবহন খরচও অনেকটাই কমে যাবে। সময়ও লাগবে কম। এতে বদলে যাবে এলাকার আর্থসামাজিক চিত্র।
লোহাগড়া বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মো. ইবাদ শিকদার বলেন, রেল লাইন চালু হলে বেশি উপকৃত হবেন ব্যবসায়ীরা। ঢাকা ও যশোরের বেনাপোলসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অল্প খরচে সহজেই বিভিন্ন পণ্য পরিবহন করতে পারবেন তারা। নড়াইর-লোহাগড়ার কয়েক হাজার ব্যবসায়ী উপকৃত হবেন। লোহাগড়ার সঙ্গে ঢাকা, চট্টগ্রাম, যশোর এবং কলকাতায় যাতায়াত সহজ হয়ে যাবে।
নড়াইল জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী বলেন, রেল লাইন নির্মাণকাজের জন্য জেলায় ৪০৬ দশমিক ৭১ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্পের আওতায় নড়াইল-লোহাগড়া অংশের কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে। এটি ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কের একটি উপরুট।
প্রসঙ্গত, ঢাকা থেকে যশোর ১৭২ কিলোমিটার-জুড়ে চলছে রেল লাইন নির্মাণ কাজ। এই কাজ শেষ হবে ২০২৪ সালের জুন মাসে। রেল স্টেশন হবে ২০টি। ৯টি জেলার ওপর দিয়ে যাবে এই রেল লাইন। ব্রডগেজ এই রেললাইনে থাকবে ৬৬টি বড় সেতু, ২৪৪টি ছোট সেতু ও ৩০টি লেভেল ক্রসিং গেট। ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা-নগরকান্দা-মুকসুদপুর- মহেশপুর-কাশিয়ানী-লোহাগড়া-নড়াইল ও জামদিয়া হয়ে যশোরের রুপদিয়ায় গিয়ে মিলবে এই রেল লাইন।