নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান বলেছেন, ‘আমরা সবাইকে নিয়ে আলোচনার চেষ্টা করেছি। অনেকেই আমাদের ডাকে সাড়া দিয়েছেন। যারা দেননি, তাদের আমরা আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াও অনানুষ্ঠানিকভাবে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছি। বার বার বলেছি, আসুন কথা বলি। তারা আমাদের স্বীকারই করেনি। আমি যখন এয়ারপোর্ট যাই, তাদের কারও সঙ্গে দেখা হলে অনুরোধ করে বলি, আমি আপনাদের নির্বাচন কমিশনার। তাদের সঙ্গে কথা বললে প্রথমে মনে হয়, আলোচনায় আসবেন। কিন্তু, কোনও অজানা কারণে পরবর্তীতে আর তারা আলোচনায় আসতে চান না। মনে হয়, টেলিভিশন এক জায়গায় আর রিমোট অন্যখান থেকে নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে।’
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে পাঁচ জেলার (ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা ও মেহেরপুর) জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, নির্বাচন কর্মকর্তা, ইউএনও এবং ওসিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন তিনি। সেখানেই এসব কথা বলেন তিনি। নির্বাচনি ও আইনশৃঙ্খলা পরিবেশ নিয়েই মূলত এ বৈঠক হয়। এতে নির্বাচন কমিশনার বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দেন। ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিদেশিদের প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘যারাই আমাদের কাছে এসেছে (ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, কমনওয়েলথ ও বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত) তাদের প্রশ্ন করেছি, আমরা যে ২১ মাসে ১৩০০ নির্বাচন করেছি, আপনাদের কি কোনও অবজারভেশন নেই? আরও কী করলে ভালো হয়? তাও তারা কোনও কথা বলেন না। তারা জানে, আমরা সাংবিধানিক পদে আছি। সাংবিধানিকভাবেই নির্বাচন করছি। সংবিধান সুরক্ষায় নির্বাচন করাটা জরুরি।’
নির্বাচনে কেন্দ্রের বাইরের পরিবেশ কেমন হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা বসে সিদ্ধান্ত নেব, ভোটারদের আসা-যাওয়ার রুটগুলো কীভাবে সুরক্ষিত করা যায়। যদি কেউ বাড়ি থেকে ভোটকেন্দ্রে আসেন, তিনি যদি পথে বাধাপ্রাপ্ত হন, তাকে যে-ই বাধা দিক না কেন, তার জন্য সর্বনিম্ন ৩ বছরের কারাদণ্ডের আইন রয়েছে।’