পাবনার ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মেইল ট্রেনের ভেতরে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে ট্রেনের একটি বগির ১১টি আসন পুড়ে গেছে। তবে, কেউ হতাহত হননি।
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা ৭ম দফার অবরোধের শেষদিন সোমবার (২৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনের অদূরে ওয়াশফিটে ঘটনাটি ঘটে।
রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, স্টেশন কর্তৃপক্ষসহ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কয়েকজন দুর্বৃত্ত মুখ বাঁধা অবস্থায় ওই ট্রেনের ‘ছ’ নম্বর বগিতে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে তারা দ্রুত দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। স্টেশনের টহল নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশ ধাওয়া করেও তাদের ধরতে পারেনি।
রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা জানান, ঘটনাটি এতো দ্রুত ঘটেছে যে, বুঝে ওঠার আগেই ট্রেনের সিটে দাউ দাউ করে আগুন ধরে যায়। খবর পেয়ে ঈশ্বরদী দমকল বাহিনীর সদস্যরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংসন স্টেশনের স্টেশন সুপার (এসএস) মহিউল ইসলাম বলেন, ঢাকা থেকে সোমবার দুপুরে ঈশ্বরদীতে আসে সিক্সডাউন ঢাকা মেইল ট্রেন। স্টেশনের অদূরে ওয়াশফিটে রেখে ট্রেনটি পরিষ্কার করা হয়। মঙ্গলবার সকালে ঈশ্বরদী থেকে ঢাকায় যাওয়ার জন্য প্রস্তত ছিল ট্রেনটি।
তিনি আরও বলেন, রাতে দুর্বৃত্তরা ট্রেনের একটি বগির মধ্যে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে কিছু আসন পুড়ে যায়। রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাসহ আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়।
ঈশ্বরদী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর অপু কুমার মন্ডল বলেন, আমরা সাড়ে ৮টার দিকে খবর পেয়ে দ্রুত গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। আগুনে ট্রেনের ‘ছ’ নম্বর বগির ১১টি আসন কমবেশি পুড়ে গেছে।
পাকশী রেলওয়ে বিভাগীয় ম্যানেজার (ডিআরএম) শাহ সূফী নূর মোহাম্মদ বলেন, নাশকতার এ ঘটনায় মামলা হবে। তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১ নভেম্বর দুুপরে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে কলকাতা-ঢাকা রুটে চলাচলকারী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। এতে ট্রেনের একটি জানালার গ্লাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর ৩ নভেম্বর সকালে স্টেশনের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রেনের নিচ থেকে তাজা বোমা উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করে র্যাব।