ঘূর্ণিঝড় মিধিলির তাণ্ডবে গভীর সাগরে ১৩ দিন আগে ডুবে যাওয়া পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ‘এফবি রহমাতুল্লাহ’ নামের একটি ট্রলারের ৭ জেলে তীরে ফিরেছেন। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে ভোলার ‘এফবি আরাফাত’ নামের ট্রলারে করে ওই জেলেদের কুয়াকাটায় নিয়ে আসা হয়। তবে, এখনো নিখোঁজ রয়েছেন রাঙ্গাবালী উপজেলার ৩ ট্রলারসহ ২৫ জেলে। এসব জেলে পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় মিধিলির সময় বঙ্গোপসগারে মাছ শিকারে গিয়ে কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালীর চারটি ট্রলারসহ ৩২ জেলে নিখোঁজ হন। সাগরে চার দিন বিভিন্ন উপকরণের ওপর ভাসার পর ৩০ বাম এলাকা থেকে ভোলার একটি ট্রলার কলাপাড়ার ৭ জেলেকে উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়া জেলেদের মধ্যে ২ জন গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। তাদের কুয়াকাটা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উদ্ধারকারী ট্রলারটি মাছ শিকার শেষে তীরে ফিরতে দেরি করায় জেলেদের ঘাটে পৌঁছাতে দেরি হয়েছে। বাকি নিখোঁজ ২৫ জেলেকে উদ্ধারে মৎস্য বিভাগ অনুসন্ধান চালাচ্ছে।
উদ্ধার হওয়া জেলেরা হলেন- আবু সালেহ, আবদুর রহমান, তানমুন, তামিম, রাজিব, সালাম ও হৃদয়।
নিখোঁজ ট্রলারগুলো হলো- রাঙ্গাবালীর নিজকাটা এলাকার নাম বিহীন হিমু হাওলাদারের ট্রলার, একই এলাকার নাম বিহীন দিদার মৃধার ট্রলার ও কোড়ালিয়া এলাকার নাম বিহীন হাসান জোমাদ্দারের ট্রলার।
এফবি রহমাতুল্লাহ ট্রলারের মালিক রহমাতুল্লাহ জানান, ঘূর্ণিঝড়ের খবর পেয়ে গভীর সাগর থেকে মাঝিসহ ৭ জেলে তীরে ফিরছিলেন। উত্তাল ঢেউয়ের কবলে পড়ে সমুদ্রের পাইপ বয়া এলাকায় আমার ট্রলারটি ডুবে যায়। কিন্তু আল্লহর রহমতে জেলেরা বাঁশের সঙ্গে কন্টেইনার বেঁধে চার দিন ভাসার পর ভোলার একটি ট্রলার তাদের উদ্ধার করে। তারাই ৭ জেলেকে ঘাটে নিয়ে এসেছে।
ভোলার এফবি আরাফাত ট্রলারের মাঝি বসু জানান, সাগরের মধ্যে ভাসমান অবস্থায় আমরা ৭ জনকে উদ্ধার করি। ওপর ওয়ালার ইচ্ছায় তারা সবাই অক্ষত ছিলেন।
কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, এখনো রাঙ্গাবালীর তিনটি ট্রলারসহ ২৫ জেলে নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের উদ্ধারে আমরা অনুসন্ধান চালাচ্ছি।