সারা বাংলা

সীমান্তে পরিত্যক্ত ৪ কেজি সোনা উদ্ধার

পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৪ কেজি ৮৬ গ্রাম ওজনের (৩৯১ ভরি ৪ আনা) পাঁচটি বিভিন্ন আকারের স্বর্ণের বার ও ১৫টি বিস্কুট বার উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় গিঁরাগাঁও বিওপিতে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল যুবায়েদ হাসান।

মঙ্গলবার সকালে গিঁরাগাঁও ক্যাম্পের সদস্যরা সীমান্তের রমজান পাড়া থেকে এসব স্বর্ণ উদ্ধার করেন। উদ্ধারকৃত সোনার বাজারমূল্য আনুমানিক ৩ কোটি ৫১ লাখ ২৫ হাজার টাকা। এসব সোনা বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার করা হচ্ছিল বলে জানিয়েছে বিজিবি। 

লেফটেন্যান্ট কর্নেল যুবায়েদ হাসান জানান, মঙ্গলবার সকালে সীমান্তের রমজানপাড়া এলাকায় ৪১০ নম্বর মেইন পিলারের কাছে জমিতে কাটা ধানের আঁটি বাঁধছিলেন ৩-৪ জন ব্যক্তি। বিজিবির গিঁরাগাঁও বিওপির সদস্যরা ওই এলাকায় টহল দেওয়ার সময় সন্দেহ হয়। বিজিবি সদস্যরা ওই ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলার জন্য এগিয়ে গেলে তারা পালিয়ে যান। পরে ধানের আঁটির নিচ থেকে একটি প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। ওই প্যাকেটে পাঁচটি বিভিন্ন আকারের স্বর্ণের বার ও ১৫টি বিস্কুট বার পাওয়া যায়। এসব বার ও বিস্কুট বারের ওজন ৪ কেজি ৮৬ গ্রাম (৩৯১ ভরি ৪ আনা)।

তিনি বলেন, আমরা স্বর্ণের বারগুলো পঞ্চগড় জেলা শহরের বানিয়াপট্টিতে একটি স্বর্ণের দোকানে নিয়ে পরীক্ষা করি এবং সোনাগুলো আসল বলে নিশ্চিত হই। আমরা জমির মালিক ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছি। সোনা পাচারে জড়িতদের শনাক্তে কাজ করছি আমরা। এ ঘটনায় আটোয়ারী থানায় বিজিবির পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হবে। স্বর্ণের বারগুলো থানায় জমা দেওয়া হবে। 

সংবাদ সম্মেলনে পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক মেজর রিয়াদ, গিঁরাগাঁও ক্যাম্পের কমান্ডার সুবেদার ফারুক হোসেনসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ১৭ ও ১৯ সেপ্টেম্বর পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের ঘাগড়া সীমান্ত এলাকা থেকে দুই দিনে ২২ কেজি ২৯ গ্রাম ওজনের ২২টি স্বর্ণের বার উদ্ধার ও জুয়েল নামে এক চোরাকারবারিকে আটক করে নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ঘাগড়া ক্যাম্পের সদস্যরা।