পঞ্চগড়ের পাঁচ উপজেলা এবং একটি পৌরসভায় এবার প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
আগামী ১২ ডিসেম্বর দিনব্যাপি ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ১৮ হাজার ৫০ জনকে নীল রঙের এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ১ লাখ ৪২ হাজার ৪২২ জনকে লাল রঙের এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এ দিন ১ হাজার ৭৭টি কেন্দ্রে ২ হাজার ১৫৪ স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবেন।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে পঞ্চগড় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অবহিতকরণ সভায় সাংবাদিকদের এ সব তথ্য জানান সিভিল সার্জন ডা. মোস্তফা জামান চৌধুরী।
সিভিল সার্জন জানান, ১ লাখ ৬০ হাজার ৪৭২ জন শিশুর মধ্যে সদর উপজেলায় ৬ থেকে ১১ মাস বয়সি শিশু ৪ হাজার ৪৫০ জন এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সি শিশু ৩৪ হাজার জন; আটোয়ারী উপজেলায় ৬ থেকে ১১ মাস বয়সি শিশু ১ হাজার ৮৫০ জন এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সি শিশু ১৬ হাজার ৪২২ জন; বোদা উপজেলায় ৬ থেকে ১১ মাস বয়সি শিশু ৪ হাজার ৩০০ জন এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সি শিশু ৩৪ হাজার ৫০০ জন; দেবীগঞ্জ উপজেলায় ৬ থেকে ১১ মাস বয়সি শিশু ৪ হাজার ৩৫০ জন এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সি শিশু ৩২ হাজার ৫০০ জন; তেঁতুলিয়া উপজেলায় ৬ থেকে ১১ মাস বয়সি শিশু ২ হাজার ৪০০ জন ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সি শিশু ১৮ হাজার ৫০০ জন এবং পঞ্চগড় পৌরসভায় ৬ থেকে ১১ মাস বয়সি শিশু ৭০০ জন এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সি শিশু ৬ হাজার ৫০০ জন।
ডা. মোস্তফা জামান চৌধুরী বলেন, শিশুদের জন্য এই ক্যাপসুল খাওয়া নিরাপদ এবং কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তবে ৬ মাসের কম বয়সী শিশু, ৫ বছরের বেশি বয়সী শিশু, ৪ মাসের মধ্যে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়া শিশু এবং মারাত্মক অসুস্থ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস খাওয়ানো হবে না। সকল শিশুকে অবশ্যই ভরাপেটে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য যথাসময়ে কাছের কেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে।
সভায় জেলা ইপিআই সুপারিনটেনডেন্ট হাসিবুর রহমান শাহ লাবুসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।