সারা বাংলা

পটুয়াখালী থেকে লঞ্চযোগে পালিয়েছিলো পাকবাহিনী

একাত্তরে মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমনে কোণঠাসা হয়ে লঞ্চযোগে পালিয়ে যায় পাকবাহিনী। হানাদার মুক্ত হয় পটুয়াখালী। পৌর শহরে শহীদ আলাউদ্দিন শিশুপার্কে পতাকা উড়িয়ে বিজয় উল্লাস করে মুুক্তিযোদ্ধারা। সে দিনটি ছিলো ৮ ডিসেম্বর।  

মুক্তিযুদ্ধের সে দিনগুলোতে ফিরে তাকালে দেখা যায়, ১৯৭১ সালের ২৬ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টায় পাকহানাদার বাহিনীর অতর্কিত বিমান হামলায় বিধ্বস্ত হয় পটুয়াখালী। নির্বিচারে চলে গণহত্যা ও ধ্বংষযজ্ঞ। এদিকে মুক্তিযোদ্ধারা সংগঠিত হয়ে চোরাগুপ্তা হামলা চালাতে থাকে। পরে ১৮ নভেম্বর গলাচিপা উপজেলার পানপট্টিতে পাকহানাদার বাহিনীর সাথে মুক্তিবাহিনীর সম্মুখ যুদ্ধ হয়। এতে ৭ জন পাক সেনা নিহত হয়, আহত হয় আরও বেশ কয়েকজন। পরাজয় নিশ্চিত ভেবে সেখান থেকে পালিয়ে যায় পাকসেনারা। এই বিজয়ে দক্ষিণাঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল আরও বেড়ে যায়। তারা বিভিন্নস্থানে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে শুরু করে। ৭ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমনে কোনঠাসা হয়ে পড়ে হানাদার বাহিনী। অবস্থা বেগতিক দেখে ওই রাতেই লঞ্চযোগে পটুয়াখালী থেকে পালিয়ে যায় হানাদাররা। ৮ ডিসেম্বর মুক্ত হয় পটুয়াখালী। 

পটুয়াখালী পৌর শহরের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মানস কান্তি দত্ত বলেন, এখনো শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধিস্থল অরক্ষিত অবস্থায় আছে। এখন লাল সবুজের কাছে প্রশ্ন এগুলো কি এভাবেই থাকবে! 

অপর বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান আহমেদ বলেন, পটুয়াখালী পৌর শহরসহ যে সকল স্থানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত স্থান ও গণকবর আছে সেগুলো নিয়ে আরও কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। নাহলে নতুন প্রজন্মরা কিছুই জানতে পারবে না। এ সরকার মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সরকার। আমরা আশা করছি পুরনো কবরস্থানগুলো সরক্ষিত করা হবে। 

পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক নুর কুতুবুল আলম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত স্থানগুলো সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণের লক্ষে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে বরাদ্ধ পেলে কাজ শুরু করা যাবে।