ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় সাতক্ষীরার খুচরা বাজারে লাগামহীনভাবে দাম বেড়েছে। শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরের পর থেকে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজে ২০ থেকে ৩০ টাকা ও আমদানিকৃত পেঁয়াজে ৫০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) বিকালে সাতক্ষীরার সুলতানপুর বড় বাজারে খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, রপ্তানি বন্ধের কারণে ক্রেতারা আতঙ্কিত হয়ে বাড়তি দরে পেঁয়াজ কিনছে। এক শ্রেণির অসৎ ব্যবসায়ী এর সুযোগ নিচ্ছে। তবে ভারত পেঁয়াজের রপ্তানি বন্ধ রাখায় আজ সকাল থেকে কোনো পেঁয়াজের ট্রাক ভোমরা স্থলবন্দরে প্রবেশ করেনি।
আমদানি বন্ধের সংবাদের পর সাতক্ষীরার পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা ও আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম ১২০ টাকায় উঠে গেছে। যা একদিন আগেও খুচরা বাজারে যথাক্রমে ১১০ থেকে ১২০ টাকা ও ৮৫ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আজ শনিবার (৯ ডিসেম্বর) খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ ২০০ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সাতক্ষীরা শহরের মতিয়ার রহমান, হাসান শাহরিয়ার, বিপ্লব রহমান জানান, মাত্র একদিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৬০ টাকা দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় জন্য ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট দায়ী। তারা দ্রুত দাম কমানো জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
সাতক্ষীরা কাঁচা পাকা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রজব আলী বলেন, ‘ভারত পেঁয়াজ বন্ধ করে দেওয়ায় বাজারে দাম বেড়েছে। আমরা সকালে বাজার মনিটরিং করে দেখেছি, সাতক্ষীরার ব্যবসায়ীরা বেশি লাভে বিক্রি করছে না। কেনা দাম ছাড়া মাত্র ৫ থেকে ৭ টাকা লাভে বিক্রি করছে।’
ভোমরা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী নওশাদ দেলওয়ার রাজু একদিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৫০-৬০ টাকা বাড়িয়ে দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি দ্রুত সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তা না হলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে মনে করেন তিনি।