কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় এক আ.লীগ নেতাকে দাওয়াত না দেওয়াকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) উপজেলার জিয়ারখী ইউনিয়নের জিয়ারখী গ্রামের বাজারপাড়া এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সাত জনকে আটক করেছে পুলিশ।
হামলায় গুরুতর আহত নুর ইসলাম (৬০) কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জিয়ারখী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জিয়ারখী গ্রামের বাজারপাড়ার মৃত শাহজাহান মিয়ার ছেলে। বর্তমানে তিনি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। অভিযুক্ত আজিজুল ইসলাম জিয়ারখী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
আহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জেরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার আজিজুল গ্রুপের লোকজনদের সঙ্গে নুর ইসলাম গ্রুপের লোকজনদের ঝগড়া হয়। পরের দিন শুক্রবার নুর ইসলাম গ্রুপের রঞ্জুর ছেলের সুন্নতে খতনার অনুষ্ঠান হয়। এতে আওয়ামী লীগের নেতা আজিজুল ও তার লোকজনদের দাওয়াত না দেওয়ায় আজিজুলের লোকজন নুর ইসলামকে মারপিট করে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
নুর ইসলাম বলেন, আজিজুল ও তার লোকজনকে দাওয়াত দেওয়া হয়নি। এজন্য পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হামলা করে আমাকে গুরুতর আহত করেছেন আজিজুল ও তার লোকজন। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
আহতের স্বজনেরা বলেন, গত বৃহস্পতিবার আজিজুলের পক্ষের একজন প্রতিপক্ষের রাজুর জমিতে গোবর দিয়ে তৈরি লাঠি (জ্বালানি খড়ি) শুকাতে দেয়। এ নিয়ে ঝগড়া হয়। পরের দিন রঞ্জুর ছেলের সুন্নতে খতনা অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের নেতা ও তার লোকজনদের দাওয়াত দেওয়া হয়নি। এ ঘটনার জেরে আজিজুলের লোকজন নুর ইসলামের ওপর হামলা করে। তাকে কুপিয়ে ও এলোপাথাড়ি মারপিট করে গুরুতর আহত করেন।
জিয়ারখী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে জিয়ারখী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, হামলার ঘটনায় সাত জনকে আটক করা হয়েছে। ওই এলাকার পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।