বগুড়ায় বিএনপি নেতা ও পৌর কাউন্সিলর পরিমল চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে প্রায় ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রায় সাত মাস ধরে অভিযুক্তের সম্পদ যাচাই-বাছাইয়ের পর এই মামলা করা হয়।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে দুদকের বগুড়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও মামলার বাদী মো. হাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আগের দিন রোববার (১০ ডিসেম্বর) দুদকের বগুড়া কার্যালয়ে এই মামলা করেন তিনি।
জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক পরিমল চন্দ্র দাস বগুড়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র। তিনি শহরের চেলোপাড়ার বাসিন্দা।
দুদকের এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের নভেম্বরে দুদকের কাছে পরিমল চন্দ্রের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আসে। অভিযোগটি আমলে নিয়ে চলতি বছরের মার্চ মাসে তাকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেয় দুদক। পরে ৩০ মার্চে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন পরিমল। এতে ২ কোটি ৫২ লাখ ২৪ হাজার ৩ টাকা অস্থাবর ও স্থাবর সম্পদ অর্জনের কথা জানান তিনি। এরপর দুদক তার সম্পদের অনুসন্ধানে নামে। অনুসন্ধানকালে ২ কোটি ৬০ লাখ ৯৩ হাজার ৩৫৭ টাকা মূল্যের অস্থাবর ও স্থাবর সম্পদ পান দুদক কর্মকর্তারা। পরিমলের বর্তমান দায় ৪৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৩২ টাকা। এই দুইয়ের ব্যবধানে তার নিট সম্পদ পাওয়া যায় ২ কোটি ১২ লাখ ৭৬ হাজার ৬২৫ টাকা। এ ছাড়া পরিমলের আয়কর নথি পর্যালোচনায় পারিবারিক সকল ব্যয় বাদ দিয়ে মোট ৮৬ লাখ ৮৩ হাজার ৪৭৭ টাকার আয় পাওয়া যায়। কিন্তু দুদকের হিসাবে এ নীট সম্পদ ও মোট আয়ের ব্যবধানে অতিরিক্ত ১ কোটি ২৫ লাখ ৯৩ হাজার ৪১৮ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য উঠে এসেছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ে পরিমল চন্দ্র দাসকে ফোন দেওয়া হলে তার মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে।
মামলার বাদী ও সহকারী পরিচালক হাফিজুর রহমান বলেন, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে অবৈধ সম্পদ ভোগদখল করায় অপরাধ করেছেন পরিমল চন্দ্র দাস। এ জন্য তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।