আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন লালমনিরহাট-৩ (সদর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জাবেদ হোসেন বক্কর। হাইকোর্টের আদেশে মনোনয়নপত্রের বৈধতা ফিরে পেয়েছেন তিনি। জাবেদ হোসেন বক্করের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবু বসির সামু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়াম হল রুমে আপিল শুনানির পর রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য নির্বাচন কমিশনাররা জাবেদ হোসেন বক্করের মনোনয়নপত্রের বৈধতার রায় দেন। এতে করে তার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে কোনো আইনগত বাধা থাকলো না।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাবেদ হোসেন বক্কর লালমনিরহাট-৩ (সংসদীয় আসন-১৮) স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তিনি সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন।
ব্যারিস্টার আবু বসির সামু বলেন, এক শতাংশ ভোটারের সংখ্যায় গরমিল থাকা এবং উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের পদত্যাগপত্র গৃহিত না হওয়ায় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ উল্যাহ তার (জাবেদ হোসেন বক্কর) প্রার্থিতা বাতিল করেছিলেন। পরে আমরা আপিল করি। শুনানি শেষে আদালত প্রার্থিতা ফিরিয়ে দিতে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে প্রতীক বরাদ্দের নির্দেশ প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, গত ৩ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাইয়ের সময় এক শতাংশ ভোটারের সংখ্যায় গরমিল ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের পদত্যাগপত্র গৃহিত না হওয়ায় জাবেদ হোসেন বক্করের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এর আগে গত ২৯ নভেম্বর এমপি পদে নির্বাচনে অংশ নিতে এই আসন থেকে মোট ৮জন মনোনয়নপত্র জমা দেন। ৩ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ উল্যাহ একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী জাবেদ হোসেন বক্করের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। পরে তিনি হাইকোর্টে আপিল করেন। শুনানি শেষে ১৩ ডিসেম্বর সকালে তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।
লালমনিরহাট সদর-৩ আসনের অন্য প্রার্থীরা হলেন- জাতীয় পার্টি মনোনীত মো. জাহিদ হাসান, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের মনোনীত মো. আশরাফুল আলম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত মো. মতিয়ার রহমান, জাকের পার্টি মনোনীত মো. শকিউজ্জামান মিয়া, জাসদ মমোনীত আবু তৈয়ব মো. আজামুল হক, তৃণমূল বিএনপি মনোনীত মো. শামীম আহমেদ চৌধুরী ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী শ্রী হরিশচন্দ্র রায়।