সারা বাংলা

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ে, মৃদু শৈত্যপ্রবাহের আভাস

দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে দিন দিন শীতের তীব্রতা বাড়ছে। ক্রমশ কমছে তাপমাত্রা। এ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রার অবনতি হয়েছে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রার অবনতি আর কনকনে শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯ টায় জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা চলতি মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এদিন ভোর ৬টায় এখানকার তাপমাত্রা ছিলো ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

এর আগে, শুক্রবার সকাল ৯টায় এ জেলায় রেকর্ড হয়েছিলো ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। এদিন দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ২৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে, তাপমাত্রার অবনতি আর হাড়কাঁপানো শীতে দুর্ভোগ বেড়েছে খেটে খাওয়া মানুষের। রাত থেকে সকাল অবধি ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকে পথঘাট। বিশেষ করে সন্ধ্যা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। ফলে শ্রমজীবীরা সময়মত কাজে যেতে পারছেন না। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও বিকেলের পর থেকে আবারও বাড়ছে শীত। বিপাকে যানবাহন চালকরাও। তাদেরকে সকালের দিকেও হেডলাইট জ্বালিয়ে সাবধানে চলাচল করতে হচ্ছে। শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। 

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ১০ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করলেও আজকে তা নেমে এসেছে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রিতে। তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে বিরাজ করলে সেটাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। সে হিসেবে এখানে এখন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। তাপমাত্রা আরও কমার আশঙ্কা রয়েছে।