আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম বলেছেন, ‘আমাকে যদি মেরে ফেলে দেয় দেবে। হিরো আলম একটা মরলে ১০টা জন্ম নেবে। সততার সহিত বীরের মতো মরা ভালো। কাপুরুষের মতো মরা ভালো নয়।’
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে বগুড়ার কাহালু উপজেলার রাজধানী মুরইল সট্যান্ডে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণা শুরুর পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
হিরো আলম বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেস থেকে ‘ডাব’ প্রতীক নিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লড়ছেন।
হিরো আলম বলেন, ‘ভোটের মাঠে নামলে যে কোনো রাজনৈতিক নেতার উপর হামলা হবি, মামলা হবি। মার খাবি, মার দিবি- এটাই নিয়ম। এখন এসব যদি ভয় করি তাহলে ভোটের মাঠে ভোট করতে পারমু না। আমি যদি নিজেকে নিয়েই ভয় করি তাহলে আমি জনগণের সেবা করবো কিভাবে। অবশ্যই আমাকে আগে ভাবতে হবে জনগণকে নিয়ে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভোট হয় ব্যক্তি দেখে। এখানে মার্কা কোনো বিষয় নয়। কোনো দল কোনো বিষয় নয়। কেউ যদি কাউকে ভালোবেসে ভোট দেয় তবে সেটা ব্যক্তি দেখে ভোট দেবি। হিরো আলমকে যদি পছন্দ হয়, তাহলে সেটা কোনো দল হোক, স্বতন্ত্র হোক সেটা দেখবে না। তারা (ভোটার) হিরো আলমকে ভোট দেবে। এটা আমার বিশ্বাস।’
হিরো আলম বলেন, আজকে থেকে যেহেতু প্রচারণায় নেমেছি। আমাদের হাতে আরো অনেক সময় আছে। এর মধ্যে ব্যতিক্রমী কিছু থাকবে। চমক থাকবে। যেহেতু আমরা শুরু করেছি প্রচারণার শেষও করবো ভালো কিছু দিয়ে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হিরো আলম বলেন, সারাবিশ্বই জানে হিরো আলম এই আসনে পাশ করেছিলো। কিন্তু আমাকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছিলো। যে কারণে ভোটারদের মধ্যে একটা ভয় ঢুকে গেছে। তারা বলছে, আমরা কষ্ট করে গিয়ে ভোট দিলাম। কিন্তু তোমাকে জেতানো হলো না। এবারও এরকম কিছু একটা হতে পারে-এই ভয়টা ভোটারদের মধ্যে জেগেছে আবারও। আমরা ভোটারদেরকে বলছি, দেখি আমরা আরেকবার নির্বাচন করি। এবার সরকার, নির্বাচন কমিশনার সবাই বলতেছে, এবার সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। একবার যেহেতু আপনারা আমাকে ভোট দিয়েছিলেন, আরেকবার আমাকে ভোট দিয়ে দেখেন। আমাদের জয় আবার কেড়ে নেয় কিনা। ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে আমরা সাহস নিয়ে আবারও মাঠে নেমেছি।
এদিকে, হিরো আলমের নির্বাচনে দাঁড়ানো নিয়ে এলাকার ভোটারদের মধ্য পাওয়া গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। সেলিম নামে এক ভোটার বলেন, পছন্দের প্রার্থী না থাকায় ভোট দিতে যেতাম না। কিন্তু হিরো আলম নাকি ভোটে যাবেন। এ জন্য ভোট দিতে যাবো। কি কারণে হিরো আলমকে ভোট দেবেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, হিরো আলম গরিব থেকে কোটিপতি হয়েছে। সে আমাদের দুঃখ কষ্ট বুঝবে। যে কারণে তাকে ভোট দেবো।
হৃদয় কর্মকার নামে আরেক ভোটার বলেন, হিরো আলম সব দিক দিয়ে খাটো। শিক্ষাগত যোগ্যতার দিক থেকেও খাটো। যে কারণে তো তিনি পারলেন না। তা না হলে তো তিনিই হতেন।
আব্দুর রহমান নামে আরেক ভোটার বলেন, গতবার ভালো শক্ত কোনো প্রার্থী ছিলো না এ কারণে লোকজন হিরো আলমকে ভোট দিয়েছিলো। কিন্তু এবার হিরো আলম তেমন ভোট পাবেন না। কারণ এবার বিএনপির সাবেক নেতা জিয়াউল হক মোল্লা ভোটে দাঁড়িয়েছেন। ভোটগুলো এবার সেদিকেই যাবে।
মজিদ শেখ নামে আরেক ভোটার বলেন, আমার কথা শিক্ষিত লোক দেখেই ভোট দিতে হবে। মুর্খলোককে এমপি বানানো যাবে না। শিক্ষিত না হলে যেমন কলেজের প্রিন্সিপাল হওয়া যায় না, মাস্টার হওয়া যায় না। তেমনি শিক্ষিত না হয়ে এমপি কেন হবে?