সারা বাংলা

কুষ্টিয়ায় নৌকার কর্মীদের ওপর হামলা, আহত ৫

কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালি-খোকসা) আসনে নৌকার কর্মীদের মিছিলে অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এই সময় কমপক্ষে ৫ জন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় ১০জনকে আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) রাত ৯ টার দিকে কুমারখালি উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের জয়বাংলা বাজার এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

আহতরা হলেন, নৌকার প্রার্থীর সমর্থক বাশার, আরাফাত, শাহজাহান। আর স্বতন্ত্র প্রার্থীর আহত সমর্থকেরা হলেন, বিল্লাল হোসেন ও বাপ্পী।

আহতদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল ও কুমারখালি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে কুমারখালি উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নে বহলবাড়িয়া এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রউফের একটি প্রচার কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়। এই খবর ইউনিয়নে ছড়িয়ে পড়ে। উভয় পক্ষের কর্মী সমর্থকেরা জয়বাংলা মোড় এলাকায় জড়ো হয়। সেখানে নৌকা প্রার্থীর বেশ কয়েকজন সমর্থক মিছিল বের করলে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা হয়। এতে কয়েকজন আহত হয়। পরে সংঘর্ষ বাধে। সব মিলিয়ে উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হয়। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পররপরই সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযান চালিয়ে অন্তত ১০ জনকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে। 

নৌকার প্রার্থী এবং বর্তমান সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ বলেন, আমার কয়েকজন কর্মীর ওপর হামলা করা হয়েছে। তারা আহত হয়েছে। ধারণা করছি স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী সমর্থকেরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। বিএনপি জামায়াত স্বতন্ত্র প্রার্থীর ওপর ভর করে হয়তো এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে। এভাবে  চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে নৌকার বিজয় ঠেকানো যাবে না। 

স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রউফের নির্বাচনী কাজে দায়িত্বরত প্রতিনিধি সালেহীন সেলিম বলেন, সন্ধ্যায় আমাদের একটি নির্বাচনী প্রচার ক্যাম্প ভাঙচুর করা হয়। পরে এই খবর ছড়িয়ে পড়লে জয়বাংলা বাজারে সংর্ঘষ বাধে। সেখানেও আমাদের একটি ক্যাম্প ভাঙা হয়। আমাদেরও দুজন কর্মী আহত হয়েছে।

ঘটনাস্থল থেকে কুমারখালি উপজেলায় দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও কুমারখালি উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আমিরুল আরাফাত বলেন, ঘটনার পরপরই সেখানে যাওয়া হয়। আধাঘন্টা থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজন ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। আপাতত এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

কুষ্টিয়া অতিরিক্ত পুলিশ (ক্রাইম ও মিডিয়া) পলাশ কান্তি নাথ বলেন, আমি ঘটনাস্থলে রয়েছি। সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তারা আশঙ্কামুক্ত বলে জেনেছি।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. এহেতেশাম রেজা বলেন, কুমারখালির যদুবয়রা ইউনিয়নসহ আশেপাশ এলাকাতে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটসহ র‌্যাব, পুলিশ টহল রাখা হচ্ছে। প্রয়োজনে রোববার (২৪ ডিসেম্বর) থেকে সেখানে বিজিবিও টহল রাখা হতে পারে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।