নৌকার প্রতিকৃতি তৈরি করে আলোকসজ্জা ও বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ফেস্টুন লাগিয়ে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে পাবনা-৫ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত ‘নৌকা’ প্রতীকের প্রার্থী ও সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্সকে শোকজ করেছে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির পাবনা-৫ এর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও পাবনা ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের বিচারক (যুগ্ম জেলা জজ) মো. নাজমুল হোসেন।
এর আগে, গতকাল শুক্রবার গোলাম ফারুক প্রিন্স বরাবর মো. নাজমুল হোসেন স্বাক্ষরিত শোকজের চিঠি দেওয়া হয়।
শোকজের চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ২০ ও ২১ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুসন্ধান কার্য পরিচালনাকালে বিকেল হতে রাত পর্যন্ত লাইব্রেরি বাজার এলাকায় ডিসি রোডে মাছ বাজারের সামনে ও ইন্টানেট লাইন অফিসে অবস্থিত ভবনের দোতলায়, লাইব্রেরি বাজর হতে জজ কোর্ট গামী রাস্তার ডান পাশে (ডাচ বাংলা এটিএম বুথের বিপরীতে) আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ের সামনে এবং একই রাস্তায় আটুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিকট ইছামিত নদীর ওপর অবস্থিত ব্রিজের আগে নির্বাচনি প্রচারণার অংশ হিসেবে নির্বাচনী প্রতীক নৌকার প্রতিকৃতি তৈরি করেছেন। সেই সঙ্গে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে আলোকসজ্জা করেছেন। এছাড়াও জজ কোর্ট হতে পাবনা শহরগামী আব্দুল হামিদ রোডের উভয়পাশে প্রায় সব বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ফেস্টুন লাগানো হয়েছে। যা সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮ এর বিধি ১০ এর (গ) উপবিধি ও বিধি ৭ এর (১) উপ বিধি (ক) লঙ্ঘন করা হয়েছে।
আগামী ২৪ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১১টায় স্বশারীরে নিম্ন স্বাক্ষরকারীর খাস কামরায় উপস্থিত হয়ে নিজে বা প্রতিনিধির মাধ্যমে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি। অন্যথায় শোকজধারীর ব্যাখ্যা ব্যতীত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানো হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গোলাম ফারুক প্রিন্স শোকজ নোটিশ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি নিজে আচরণবিধি লঙ্ঘনের কোনো কাজ করিনি। বিষয়টি আমার জানাও ছিল না। আওয়ামী লীগ বড় রাজনৈতিক দল। নেতাকর্মীরা স্বপ্রণোদিত হয়ে কাজটি করতে পারেন। পরবর্তীতে এমনটি না করতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটিকে লিখিত ব্যাখ্যা দেওয়া হবে।’