বিএনপির ডাকা হরতালের তেমন প্রভাব পড়েনি রংপুরের নগরজীবনে। সরকারের পদত্যাগ, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ বিএনপির বন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে রংপুর মহানগরীতে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছে।
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে নগরীর শাপলা চত্বর, কামারপাড়া বাসস্ট্যান্ড, গ্রান্ড হোটেল মোড়, জাহাজ কোম্পানি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, হরতাল উপেক্ষা করে বাস ও ছোট যানবাহনগুলোর চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এছাড়া অন্যান্য দিনের মতোই দোকানপাট, অফিস-আদালত, ব্যাংক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। হরতাল কেন্দ্র করে সকাল ১০টা পর্যন্ত নগরীর কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
অটোরিকশা চালক আজিজুল বলেন, শুধু শুনি আজ হরতাল। কিন্তু এর কোন চিহ্ন আমরা দেখতে পাইনা। কে হরতাল ডাকে! আর কে পালন করে, সেটিও বোঝা যায়না। শুধু আমরা অটো চালকরা আতঙ্ক নিয়ে পথ-ঘাটে চলাফেরা করি। এরই নাম হরতাল।'
রংপুর-পারবতীপুর আন্তঃজেলা বাসের কন্ট্রাকটার হাশেম আলী বলেন, এসব হরতালে আমরা আতঙ্কে থাকি। হরতাল আহ্বানের কথা শুনলে পরিবহনগুলোতে যাত্রীও কমে যায়।
রংপুর মহানগর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ মোনতাসির বিল্লাহ জানান, বিএনপির ডাকা এই হরতালে যেকোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। হরতাল ঘিরে কেউ যাতে কোনো ধরনের নাশকতমূলক কার্যক্রম করতে না পারে সে বিষয়েও পুলিশ সর্বদা সজাগ ও সচেষ্ট রয়েছে।