পটুয়াখালীতে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সামনে থেকে সিনেমা স্টাইলে মোস্তফা কামাল নামে এক মামলার আসামিকে অপহরণ করে ওই মামলার বাদী। এ ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হয়েছে। পরে আবার আদালতের নির্দেশে তাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাতে ঘটনাটি গণমাধ্যমের সামনে আসে।
অপহৃত মোস্তফা কামাল গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া থানার গাওরার গ্রামের মৃত আহাম্মদ ছালামের ছেলে।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, গত মঙ্গলবার মোস্তফা কামাল নামে ওই ব্যক্তি হাজিরা শেষ করে ফেরার পথে পটুয়াখালী কোর্টের সামনে থেকে মামলার বাদী ও তার পূর্বের স্ত্রী নাসিমা আক্তারের নেতৃত্বে কিছু অজ্ঞাতনামা লোক জোরপূর্বক অটোতে উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার বিষয়ে তাৎক্ষণিক আসামি পক্ষের আইনজীবী সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান হাসিব লিখিত আকারে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারককে অবহিত করে। আদালত সঙ্গে সঙ্গে কোর্ট পুলিশ পরিদর্শককে উদ্ধার পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করে। পরে বাউফল থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে কোর্ট পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। আদালত তাকে ওই আইনজীবীর জিম্মায় ছেড়ে দেয়।
অপহৃত মোস্তফা কামাল জানান, আমার বাড়ি গাজিপুর জেলায়। আমি এখানের কাউকেই চিনিনা। আমার সাবেক স্ত্রীর নেতৃত্বে ওরা আমাকে অটোতে উঠিয়ে বাউফল উপজেলার অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে মারধর করে ও খুনের হুমকি ধামকি দিয়ে আমার কাছে থাকা নগদ ত্রিশ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এসময় একটি ব্ল্যাঙ্ক নিকাহ নামায় স্বাক্ষর নেয়। কিছুক্ষণ পরে বাউফল থানা পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে, কোর্টে পাঠায় এবং আইনজীবীর জিম্মায় ছেড়ে দেয়।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শোনিত কুমার গায়েন বলেন, কোর্টের নির্দেশ মতে পাওয়া সংবাদে আমরা ভিকটিমকে উদ্ধার করে কোর্ট পুলিশ পরিদর্শকের নিকট হস্তান্তর করি। এরপর কোর্ট প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। তবে এঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।
আইনজীবী সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান হাসিব বলেন, আমার মক্কেল মোস্তাফা কামাল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে সি আর ৪৯৭/২০২৩ মামলার তারিখ ধার্য্য থাকায় আদালতে হাজির হতে আসেন। হাজিরা প্রদান কার্যক্রম সম্পন্ন করে ফিরে যাওয়ার সময় মামলার বাদী নাসরিন সন্ত্রাসীদের নিয়ে জোরপূর্বক অটোরিকশায় করে উঠিয়ে নিয়ে যায়। বিষয়টি আমি তাৎক্ষণিক আদালতের দৃষ্টিতে নিয়ে আসলে আদালত দ্রুত উদ্ধার ও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদেশ দিলে পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে আদালতের মাধ্যমে আমার জিম্মায় হস্তান্তর করে। এবিষয়ে আমরা বিজ্ঞ আদালতে একটি অপহরণ মামলার আবেদন করবো।