দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-২ (বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী বহুল আলোচিত বিশ্বনাথের মেয়র মুহিবুর রহমান অবশেষে প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন।
তিনি অনেকটা আন্দোলনের মাধ্যমে তিনি এই প্রতীকটি পেলেন। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুয়ায়ি দেশের বিভিন্ন স্থানে মেয়র চেয়ারম্যানরা পদত্যাগ করে এই নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিল করেছেন। কিন্তু এই নির্বাচনে পদত্যাগ না করেই দেশের একমাত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হয়ে আলোচনায় এসেছেন মেয়র মুহিবুর রহমান।
পদত্যাগ না করায় গত ৩ ডিসেম্বর তার মনোনয়ন বাতিল করেন রিটার্নিং অফিসার। তবে মুহিবুর রহমান প্রার্থিতা ফিরে পেতে প্রথমে নির্বাচন কমিশনে আপিল করলে ১৬ ডিসেম্বর সেই আপিল খারিজ করা হয়। এর বিরুদ্ধে ১৭ ডিসেম্বর তিনি হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেন। দু’দফা শুনানির পর ২৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট তার পক্ষে রায় দিলে বৈধতা ফিরে পান। কিন্তু তার প্রার্থিতা বৈধভাবে ফিরে পেলেও প্রতীক পেতে তাকে আন্দোলন করতে হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ও পরে বিকেলে বিশ্বনাথ বাসিয়া সেতুর উপর গিয়ে মানববন্ধন করেন। ওই মানববন্ধনে তিনি বলেন তাকে নির্বাচন করতে দেওয়া না হলে ভোটের দিন সকল ভোটারকে কেন্দ্রতে না যাওয়ার জন্য বলবেন। এ ছাড়াও তিনি প্রতীকের জন্য আন্দোলন করেই যাবেন। আজ (শুক্রবার) থেকে নতুন কর্মসূচির ঘোষণাও দেন। তবে সেই কর্মসূচি তাকে আর পালন করতে হয়নি।
বৃহস্পতিবার রাতেই তিনি প্রতীক বরাদ্দ পান। তবে প্রতীক পাওয়ার আগে ব্যানার-পোস্টারে ট্রাক প্রতীক লাগিয়ে প্রচারনা করায় তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানাও গুণতে হয়েছে। গত ২৬ ডিসেম্বর বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে এই জরিমানা করেন বিশ্বনাথ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সম্রাট হোসেন।
মেয়র মুহিবুর রহমান বলেন, আন্দোলনের মুখে পড়ে নির্বাচন কমিশন আমার প্রতীক দিকে বাধ্য হয়েছে। রাত পৌনে ১০টার সময় রিটার্নিং অফিসার ফোন দিয়ে অফিসে নিয়ে আমার প্রতীক দেন। সেটা সত্যের জয় বলে তিনি মনে করেন।