দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পাবনা-১ আসনে ‘নৌকা’ ও ‘ট্রাক’ প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে সাঁথিয়া পৌর সদরের বোয়াইলমারী বাজারে সংঘর্ষ হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বিকেলে বোয়াইলমারী বাজারে ‘ট্রাক’ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাঈদের নির্বাচনি পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে সন্ধ্যার পর অধ্যাপক আবু সাইয়িদের সমর্থক সাঁথিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মাহমুদ দেলোয়ার ও বেড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুল বাতেনের নেতৃত্বে নির্বাচনি প্রচারণার মিছিল বের হয়। মিছিলটি উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিস পার হওয়ার সময় পিছন থেকে ইট পাটকেল ছুঁড়ে হামলা চালায় নৌকার সমর্থকরা। এ সময় উভয়পক্ষের সমর্থকরা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে দুই পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। আহতদের সাঁথিয়া ও বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতদের মধ্যে চারজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- আব্দুর রশিদ দুলাল (৫০), সজল হোসেন (২৮), মনোয়ার হোসেন (৩০) ও সাব্বির হোসেন (২৮)।
সাঁথিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ দেলোয়ার বলেন, ‘অধ্যাপক আবু সাঈদের নির্বাচনি পথসভা শেষে আমরা মিছিল নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিস পার হচ্ছিলাম। এসময় পেছন থেকে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা খোকনের নেতৃত্বে নৌকার সমর্থকরা আমাদের ওপর হামলা করেন। এতে আমাদের ৭-৮ জন আহত হয়েছেন।’
উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা খোকন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমরা ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের অফিসে বসেছিলাম। এ সময় অধ্যাপক আবু সাঈদের সমর্থকরা মিছিল থেকে আমাদের নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। তখন আমরা দৌঁড়ে আওয়ামী লীগের অফিসে যায়। এ সময়ে উভয় পক্ষের মধ্যে একটু ধাওয়া-পাল্টা দেওয়া হয়। অধ্যাপক আবু সাঈদের সমর্থকরা আওয়ামী লীগের অফিস ভাঙচুর করে। এই ঘটনায় আমাদেরও ৩-৪ জন আহত হয়েছেন।’
সাঁথিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান আলী বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি এলাকায় ছিলাম না। পরে সংঘর্ষের বিষয়টি শুনেছি। পুরো বিষয়টি আমার জানা নেই। জেনে তারপর বিস্তারিত বলতে পারবো।’
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করি। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। পুরো বিষয়টা আমরা তদন্ত করে দেখছি।’