ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন তুফা বিশ্বাসকে মারধর করে গায়ে থাকা মুজিবকোর্ট ছিড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে ঝিনাইদহ শহরে ভাষা সৈনিক মুসা মিয়া আইসিটি সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন তুফা বিশ্বাস।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে সদর উপজেলার শংকরপুর গ্রামে নৌকার সমর্থকরা তার উপর হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারপিট করেন ও গায়ে থাকা মুজিবকোর্ট ছিঁড়ে ফেলেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, রাতে তিনি মাইক্রোযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুলের নির্বাচনি প্রচারণায় শংকরপুর গ্রামে যান। গাড়ি থেকে নেমে তিনি ওমর আলীর চায়ের দোকানে নামেন। এসময় নৌকা প্রতীকের সমর্থক চন্ডিপুর গ্রামের কামরুজ্জামানের ছেলে জোবায়ের মীর, একই গ্রামের কফিল উদ্দীনের ছেলে মীর কামরুজ্জামান, আমির হোসেনের ছেলে হেলাল উদ্দীন ও নুর ইসলামের ছেলে আজিজুল ইসলাম তাকে গাড়ি থেকে কলার চেপে ধরে টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে বেদম মারপিট করেন। এসময় তার গায়ে থাকা মুজিবকোর্টটি টেনে ছিঁড়ে ফেলা হয়। তাকে এলাকায় গিয়ে নৌকার বিরুদ্ধে ভোট করলে খুন জখমের হুমকিও দেওয়া হয়। এ কারণে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ ঘটনার পর থেকে ঈগল প্রতীকের পক্ষে নিজ এলাকায় তিনি প্রচারাভিযান চালাতে পারছেন না বলেও লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়েছে।
তোফাজ্জেল হোসেন তুফা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী ও নৌকার প্রার্থী দুইজনই জেলা আওয়ামী লীগের নেতা। দলীয় সভাপতির ঘোষণার কারণে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে ভোট করছি। এটা তো আমার অপরাধ নয়। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আমি স্বাধীনতার পর থেকে ৫১ বছর ধরে আওয়ামী লীগ করছি। বহু বছর ধরে গান্না ইউনিয়নের নেতৃত্ব দিচ্ছি। রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ভাষণে উজ্জীবিত হলে মুজিবকোর্ট গায়ে পরেছি, অথচ সেই কোর্ট ছিঁড়ে ফেলা হলো। আমি সদর থানায় অভিযোগ দিয়েছি, এর বিচার চাই।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে, রেজাউল মাস্টার, আলমগীর হোসেন, আমিন হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।