নৌকায় ভোট না দিয়ে অন্য কাউকে ভোট দিলে ভোটার আইডি থেকে নাম কাটা যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান দুলু। শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) শাজাহানপুর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে নির্বাচনি জনসভায় নারী ভোটারদের উদ্দেশে তিনি এই মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে দেওয়া ৪ মিনিট ৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দুলুর এমন কথা বলতে শোনা গেছে।
বগুড়া-৭ (শাজাহানপুর ও গাবতলী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. মোস্তফা আলম নান্নু’র নির্বাচনি প্রচারণা সভায় দুলুর বক্তব্য দেয়ার সময় মঞ্চে নৌকার প্রার্থী ডা. মোস্তফা আলম নান্নু, বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাজেদুর রহমান সাহীনকে বসে থাকতে দেখা যায়।
বক্তব্যে আসাদুর রহমান দুলু বলেন, ‘আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহিলাদের সম্মানের আসনে বসিয়েছেন। সেই শেখ হাসিনাকে (নৌকা) ভোট দিবেন না, অন্য কাউকে ভোট দিবেন, তাহলে ভোটার আইডি কার্ড থেকে আপনার নাম আবার কর্তন হয়ে যাবে।’
এ সময় তিনি সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘৩০ কেজি করে চাল কে দিচ্ছে? শেখ হাসিনা সরকার। বিধবা ভাতা কে দিচ্ছে? শেখ হাসিনা সরকার। মাতৃকালীন ভাতা কে দিচ্ছে? শেখ হাসিনা সরকার। স্বামী পরিত্যক্তা ভাতা কে দিচ্ছে? শেখ হাসিনা সরকার। ঘর কে দিচ্ছে? শেখ হাসিনা সরকার।’ এছাড়া তিনি বর্তমান সরকারের উনয়নমূলক কাজ ও পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
আসাদুর রহমান দুলু বলেন, ‘এই সরকার এতকিছু করার পরেও যদি তাকে ভোট না দেন তাহলে কি আপনাদের নাম আর থাকবে? থাকবে না। এই আসনে যিনি প্রার্থী হয়েছেন তিনি মোস্তফা আলম নান্নু। চাঁদেরও কলঙ্ক আছে, কিন্তু নান্নুর কোনো কলঙ্ক নেই। তাই তাকে ভোট না দিয়ে কি চোর-বাটপারদের ভোট দিবেন?’
দুলু বলেন, ‘আমরাও ভোট চেয়েছিলাম, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন কি? দুলুদের থেকে নান্নু অনেক ভালো আছে। তাহলে তাকে ভোট দেবেন না কেন?’
জানতে চাইলে আসাদুর রহমান দুলু বলেন, ‘আমি আসলে ওই সেন্সে বক্তব্য দেইনি। বলতে চেয়েছি এই সরকার আপনাদের নাম দিয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। নৌকায় ভোট না দিলে অন্য কেউ আসলে আপনাদের নাম তখন কাটা যেতে পারে।’
বগুড়া জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম জানান, কেউ যদি কোনো প্রার্থীর পক্ষে এমন বক্তব্য দেন, তাহলে সেটি আচরণবিধি লঙ্ঘন। আমরা খতিয়ে দেখছি। কোনো প্রার্থী অভিযোগ করলে আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।