শেরপুর-১ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও জাতীয় সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিকের বিরুদ্ধে নির্বাচনি কাজে বাধা ও নানা অভিযোগ এনে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ছানুয়ার হোসেন ছানু।
রোববার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে শহরের নিউমার্কেটে প্রধান নির্বাচনি কার্যালয়ে ওই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত প্রায় অর্ধশতাধিক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। এসময় তিনি লিখিত বক্তব্য পাঠ করে সাংবাদিকদের শোনান।
এসময় লিখিত বক্তব্যে ছানু বলেন, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আতিউর রহমান আতিক নৌকা প্রতীক পায় এবং আমি ট্রাক প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হই। যা প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা অবগত রয়েছেন। কিন্তু আতিউর রহমান আতিক নির্বাচনি মাঠে আমার ট্রাক প্রতীকের গণজোয়ার দেখে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। আমার বিভিন্ন কেন্দ্রের সমর্থকদের ওপর হামলা করে হাত-পা ভেঙে দিয়েছেন। আমার কেন্দ্র ভাঙচুর করেছেন। এছাড়াও বৈধ ও অবৈধ অস্ত্র প্রদর্শন করছেন তিনি। এছাড়াও নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনসহ নানাভাবে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে আসছেন আমার কর্মীদের।
তিনি আরও বলেন, শেরপুর-১ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর মেয়ে ডা. শারমিন রহমান অমি শেরপুর পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মরত একজন সরকারি কর্মকর্তা। তিনি প্রকাশ্যে নৌকার পক্ষে নির্বাচনে নেমেছেন। ফেসবুকে সে আমার ভিডিও সম্পাদনা করে নানা ধরনের পোস্ট দিয়েছে। এছাড়াও কামারিয়া, ধলা, রৌহা ও বেতমারী ঘুঘুরাকান্দি ইউনিয়নে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে সে। সেখানে আমার কর্মীরা কাজ করতে পারছে না। তাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে এবং এই সকল ইউনিয়নগুলোতে সিল মারার প্রস্তুতি নিয়েছেন এমন খবর আছে।
এসময় তিনি প্রশাসন ও সাংবাদিকদের কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ নেতা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান, পৌরসভার মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আলহাজ্ব মো. ইলিয়াস উদ্দিন, জেলা জাসদের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সামছুন্নাহার কামাল, জেলা যুবলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
তবে এ ব্যাপারে গতকাল একই ধরনের অভিযোগ তুলে সংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় করেছিলেন হুইপ আতিউর রহমান আতিক। সেই অভিযোগগুলোকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করেন ছানুয়ার হোসেন ছানু।