গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার মুকসুদপুর পাইলট বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আওয়ামী লীগের ‘নৌকা’ ও ‘ঈগল’ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী একই সময়ে জনসভার আয়োজন করায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) ভোর ৬টা থেকে শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) ভোর ৬টা পর্যন্ত ফৌজদারি এই আইন জারি করেন গোপালগঞ্জের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মাহবুবুল আলম।
গোপালগঞ্জ-১ (মুকসুদপুর-কাশিয়ানীর একাংশ) আসনে আওয়ামী লীগের ‘নৌকা’ প্রার্থী মুহাম্মদ ফারুক খান। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কাবির মিয়া। তিনি ঈগল প্রতীকে নির্বচন করছেন।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মাহবুবুল আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে সংসদীয়-২১৫ গোপালগঞ্জ-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কাবির মিয়া ৪ জানুয়ারি ২০২৪ বিকাল ৩ ঘটিকায় মুকসুদপুর পাইলট বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নির্বাচনি জনসভা করবেন এবং একই দিনে, একই সময়ে, একই স্থানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মুহাম্মদ ফারুক খান নির্বাচনি জনসভা করতে চান। ফলে উক্ত নির্বাচনি জনসভাকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে। ফলে উক্ত নির্বাচনি জনসভাকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, সেহেতু উক্ত স্থানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে আমি কাজী মাহবুবুল আলম, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, গোপালগঞ্জ ১৮৯৮ সালের ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৬ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে মুকসুদপুর পৌরসভাধীন মুকসুদপুর পাইলট বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ৪ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ সকাল ৬টা হতে ৫ জানুয়ারি সকাল ৬টা পর্যন্ত ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারা জারি করলাম। এ ধারা মোতাবেক উল্লিখিত সময়ে ও স্থানে যে কোনো ধরণের সমাবেশ, মিছিল, অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য বহন, মাইকিংসহ জনশান্তির বিঘ্ন সৃষ্টি হয় এমন যে কোনো কাজ নিষিদ্ধ ঘোষণা করলাম। একই সঙ্গে উল্লেখিত এলাকায় ৪ (চার) জনের অধিক ব্যক্তির চলাচল ও সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলাম।
নির্বাচনি কাজে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। এ আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে প্রযোজ্য আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।