সারা বাংলা

নৌকার সমর্থকরা জাল ভোট দিচ্ছে : ডলি সায়ন্তনী

পাবনা-২ (সুজানগর-বেড়ার একাংশ) আসনে বিভিন্ন কেন্দ্রে জোরপূর্বক নৌকায় ভোট দেয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে নৌকার সমর্থকরা প্রচুর জাল ভোট দিচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ডলি সায়ন্তনী। 

তিনি উল্লেখিত আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) মনোনীত প্রার্থী। 

রোববার (৭ জানুয়ারি) ভোট গ্রহণ শুরুর পর সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ডলি সায়ন্তনী ফেসবুক পেজে লাইভে এসে এ অভিযোগ করেন। 

ফেসবুক লাইভে ডলি সায়ন্তনী বলেন, সুজানগরের অধিকাংশ কেন্দ্রে ভোটারদের হাতে নৌকা প্রার্থীর ছবি ও প্রতীক সম্বলিত কাগজ দেয়া হচ্ছে। ভোটাররা সেই কাগজ হাতে কেন্দ্রে আসছেন। কেন্দ্র থেকে স্থানীয় গ্রাম প্রধানরা তাদের নৌকায় ভোট দিতে বলছেন। একইসঙ্গে প্রকাশ্যে ব্যালট পেপার ভাঁজ করতে বলছেন। সুজানগরের মোহাম্মদীয়া দাখিল মাদরাসা, মানিকহাট, সুজানগর পৌর এলাকার অধিকাংশ এলাকায় নৌকার প্রার্থীর সমর্থকরা জাল ভোট দিচ্ছে। জোর করে ভোট কেটে নিচ্ছে। নোঙ্গর মার্কার এজেন্ট বের করে দিচ্ছে। 

লাইভে ডলি সায়ন্তনী এমন ভোট বন্ধ করতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। একইসঙ্গে যে সকল কেন্দ্রে এভাবে ভোট নেয়া হয়েছে সেই কেন্দ্রগুলো বন্ধের দাবি করেন। 

পরে ডলি সায়ন্তনী বলেন, ‘অধিকাংশ কেন্দ্রেই নৌকার পক্ষে জোরপূর্বক ভোট নেয়া হচ্ছে। গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামের একটি কেন্দ্রে সকাল ১০টার মধ্যেই ব্যালট বাক্স ভর্তি হয়ে গেছে। এভাবে চললে এটাকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন বলা যায় না।’

‘সব জায়গায় নৌকার লোকজন জাল ভোট দিচ্ছে’ দাবি করে ডলি সায়ন্তনী বলেন, ‘সব জায়গায় আমি গিয়ে নিজে হাতে ধরেছি।’

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নৌকার প্রার্থী আহম্মেদ ফিরোজ কবির বলেন, আন্দাজে এমন অভিযোগ দিলে চলবে না। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দিতে হবে। কোনো কেন্দ্রে জোরপূর্বক ভোট নেয়া হচ্ছে না। আর জোরপূর্বক ভোটের অভিযোগ করলে সেটা আমার দিকে নয়, প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ।  জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মু. আসাদুজ্জামান বলেন, তিনি (ডলি সায়ন্তনী) একটি কেন্দ্রের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করেছেন। সেখানে ম্যাজিস্ট্রেট পাঠানো হয়েছে। কোন প্রকার অনিয়ম হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভোট সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে কোনো প্রকার ছাড় দেয়া হবে না।