চট্টগ্রামে নির্বাচনের দিন প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলিবর্ষণকারী শামিম আজাদ প্রকাশ ব্লেড শামিমকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রামের র্যাব-৭ এর চান্দগাঁও ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনে গ্রেপ্তারের তথ্য জানান র্যাবের লিগ্যাল এ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃত শামিম একজন চিহ্নিত চাঁদাবাজ। তিনি অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী এবং বিভিন্ন সময় ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হিসেবে নিজের কার্যকলাপ পরিচালনা করতেন। শুধু এসব কর্মকাণ্ডই নয়, তার বিরুদ্ধে পাহাড় কাটা, হুমকি প্রদানসহ বিভিন্ন অপরাধের তথ্য রয়েছে। তার বিরুদ্ধে এর আগে ৫টির বেশি মামলা হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে তিনবার গ্রেপ্তারও করেছে। কিন্তু প্রতিবারই জামিনে বের হয়ে তিনি তার অপকর্ম চালিয়ে গেছেন।
আরও পড়ুন: পাহাড়তলীতে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ১
র্যাব আরও জানায়, ৭ জানুয়ারি নির্বাচন চলাকালে পাহাড়তলী এলাকায় নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বিঘ্নিত করার জন্য শামিমের নেতৃত্বে আরও কিছু অস্ত্রাধারী সন্ত্রাসী কেন্দ্রের সামনে আধিপত্য বিস্তার, প্রতিপক্ষের ওপর হামলার ঘটনা ঘটান। শামিম নিজে ভোট কেন্দ্রের সামনে বিদেশি পিস্তল দিয়ে প্রতিপক্ষকে এলোপাথারি গুলিবর্ষণ করেন। তার গুলিতেই শান্ত এবং জামাল নামে দুইজন ব্যক্তি গুরুতরভাবে আহত হন। এ ঘটনায় শামিমের বিরুদ্ধে খুলশী থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা হয়। সেই মামলায় আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
মামলা হলে শামিম সীতাকুণ্ডের পাহাড়ে আত্মগোপন করেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে সীতাকুণ্ডের কুমিরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও ২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
শামিম কার পক্ষে কাজ করেছে-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘আমরা তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি। সে মূলত কার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হিসেবে ভোটের দিন অপকর্ম বা এ ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করেছে-এ সংক্রান্ত তথ্য আমরা যাচাই-বাছাই করছি। নির্বাচনের দিন শামিম প্রকাশ্যে গুলি চালিয়েছেন এবং দুই জনকে গুরুতর আহত করেছেন। সেখানে ভিকটিম যে তিনি মামলা করেছেন। মামলায় উল্লেখ আছে, তিনি (শামিম) স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে অর্থাৎ ফুলকপি মার্কার প্রার্থীর (মঞ্জুর আলম) পক্ষে কাজ করছিলেন। এই বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।’