সারা বাংলা

৭ দিন ধরে সিলেটের সব স্থলবন্দর দিয়ে পাথর আমদানি বন্ধ

আমদানিকৃত পাথরের ওপর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অতিরিক্ত শুল্ক বৃদ্ধির প্রতিবাদে ৭ দিন ধরে সিলেটের সব স্থলবন্দর দিয়ে পাথর আমদানি বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন হাজারো শ্রমিক।

সিলেট বিভাগীয় স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশন সমূহে ব্যবসা পরিচালনা সংক্রান্ত কমিটির আহ্বায়ক এমদাদ হোসেন বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অতিরিক্ত শুল্ক বৃদ্ধির প্রতিবাদে গত ৮ জানুয়ারি থেকে পাথর আমদানি বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। এরপর থেকে কোনো পাথর বোঝাই ভারতীয় ট্রাক বা নৌকা বাংলাদেশ প্রবেশ করেনি।

তামাবিল চুনা পাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি এম লিয়াকত আলী বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ভারত থেকে পাথর ও চুনাপাথর আমদানির ওপর এ্যাসেসমেন্ট ভ্যালু প্রতি মেট্রিক টনে অতিরিক্ত মূল্য বৃদ্ধি করে। এই বাড়তি শুল্ক দিয়ে পণ্য আমদানি করতে হলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়বেন। তাই তামাবিলসহ সিলেটের সব বন্দর ও শুল্ক স্টেশন দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর পাথর আমদানি বন্ধ রাখা হয়েছে।

জানা যায়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সিলেট অঞ্চলের স্থলবন্দরগুলো দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা বোল্ডার স্টোনে নতুন করে প্রতি মেট্রিক টনে ১৩ ডলার, স্টোন চিপসে ১৪ ডলার এবং লাইম স্টোনে ১৩ দশমিক ৫০ ডলার করে অতিরিক্ত শুল্ক বসায়।

সিলেট কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট গত ৪ জানুয়ারি এক পত্রে সোমবার (৮ জানুয়ারি) থেকে এই হারে শুল্কায়ন ধার্য করে। এরপর থেকেই পাথর আমদানি বন্ধের ঘোষণা দেন ব্যবসায়ীরা।

ভোলাগঞ্জ চুনাপাথর আমদানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মুজিবুর রহমান মিন্টু বলেন, সিলেটের সবগুলো বন্দর ও শুল্ক স্টেশন দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর পাথর আমদানি বন্ধ রাখা হয়েছে। পাথর আমদানি বন্ধ থাকায় প্রতিদিন ৮৫ লাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। পাথর আমদানি বন্ধ থাকায় ভোলাগঞ্জসহ সারা সিলেটে হাজার হাজার স্টোন ক্রাশার মেশিন বন্ধ হওয়াতে নিম্ন আয়ের শ্রমিকেরা বেকার হয়ে পড়েছেন। দ্রুত এই সংকট সমাধানের দাবি জানাচ্ছি।