পটুয়াখালীতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো পড়ছে ঘন কুয়াশা। বেলা বাড়লেও দেখা মিলছে না সূর্যের। দুপুর পর্যন্ত হেডলাইট জালিয়ে চলছে যানবাহন। সেই সঙ্গে বইছে হিমেল হাওয়া। হাড় কাপানো শীতে কাপছে উপকূলীয় জনজীবন।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন ১২.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে খেপুপাড়া আবহাওয়া অফিস। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে চরাঞ্চলের বাসিন্দারা। দুর্ভোগে রয়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। খড়কুটো জালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালাচ্ছেন অনেকে।
হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা।
কলাপাড়া হাসপাতালে মেয়ের চিকিৎসা নিতে আসা সাইফুল ইসলাম বলেন, তীব্র শীতের কারণে আমার মেয়ে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি।
পটুয়াখালী পৌর শহরের বাসিন্দা মোটরসাইকেল চালক আরিফ মিয়া বলেন, এই শীতে মোটরসাইকেল চালানো অনেক কষ্ট। এছাড়া, তীব্র শীতের কারণে অনেক যাত্রীই মোটরসাইকেলে উঠতে চান না। তাই গত এক সপ্তাহ ধরে আমাদের আয় অনেকটা কমে গেছে।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী জানান, তাপমাত্রা আরও কমতে পারে এবং ঘন কুয়াশা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই অবস্থা আরও এক সপ্তাহ বিরাজ করতে পারে।