সারা বাংলা

শীতে কাঁপছে দক্ষিণাঞ্চল 

পৌষের শেষ দিন আজ, কাল মাঘ শুরু। তীব্র শীতে কাঁপছে খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা। বিশেষ করে প্রত্যন্ত এলাকায় কয়েকদিনের শীতে জনজীবন স্থবির হওয়ার উপক্রম হয়েছে। রাতের দিকে তাপমাত্রা ১০ থেকে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসায় বিপাকে পড়ছে শিশু ও বয়স্ক মানুষেরা। 

দিনের অধিকাংশ সময়ই থাকছে কুয়াশায় ঢাকা। দেখা মিলছে না রোদের। ঘন কুয়াশার তোড়ে সূর্যও উঁকি দিতে পারছে না। সব মিলিয়ে শৈত্য প্রবাহে জবুথবু অবস্থা বিরাজ করছে খুলনাসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে। শীতের তীব্রতা থেকে রক্ষা পেতে অনেকেই আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা গ্রহণ করছেন।

এদিকে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, এ অবস্থার আরো ২/৩দিন স্থায়ী হতে পারে।

অপরদিকে, তাপমাত্রা কমার প্রভাব দেখা যাচ্ছে নগরীর বিপনী বিতানগুলোতে। শীত নিবারণের জন্য গরম কাপড়, হাত-পা মোজা, টুপি, মাফলার, জ্যাকেট কিনতে অনেকেই সেখানে ছুটছেন ।

নগরীর রেলওয়ে মার্কেট এমন এক ক্রেতা মনিরুল ইসলাম জানান, এখন মনে হচ্ছে শীতকাল এসেছে। ভেবে ছিলাম এ বছর শীতের দেখা মিলবে না। এখন এ অবস্থা! তাই জ্যকেট কিনতে চলে এসেছি। কিন্তু শীত দেখে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়েছে। আগে যেসব পোশাক ৫০০/৬০০ টাকা কেনা যেতো। সেটি এখন ৭০০-৯০০ টাকা হাঁকাচ্ছেন।    দোকানো আসা সোহেল রানা বলেন, এখন ব্যবসায়ীদের পোয়াবারো। দাম হাঁকিয়ে বসে থাকছেন। তারপরও পছন্দ মতো একটি সোয়েটার কিনতে পেরেছি।

এই শীতে বেশি কষ্টে পড়েছেন নিম্ব আয়ের মানুষেরা। রিকশাচালক আসলাম শেখ বলেন, শীতে অবস্থা কাহিল। কিন্তু পেটতো বাঁচাতে হবে। তাই রিকশা নিয়ে বের হয়েছি। শীতে লোকজনও কম। আবার আয় না হলে সংসার চালাতে পারবো না। 

অবশ্য তীব্র শীতে পিঠে-পুলির দোকানে বেচাবিক্রি জমজমাট। নগরীর তারেরপুকুর, মোল্লাবাড়ি মোড়, দোলখোলা, বৈকালী, খালিশপুরের মৌসুমী পিঠার দোকানে ভিড় লক্ষনীয়।

পরিবার নিয়ে পিঠা খেতে আসা মোরশেদ আলম বলেন, শীতে পিঠে খাওয়ার মজাই আলাদা। বাড়িতে পিঠা তৈরিতেও ঝামেলা। তাই ছেলে ও বউকে নিয়ে চলে এলাম তারেরপুকুর। কিন্তু যে ভিড়। দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে।

খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের সরকারি আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ জানান, সারদেশের মত খুলনা অঞ্চলেও তাপমাত্রা কমছে। শনিবার খুলনায়  তাপমাত্রা ছিল ১২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এ বছরে খুলনাতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে । এ রকম তাপমাত্রা আরও ২-৩ দিন থাকতে পারে। ১৫ জানুয়ারির পর তাপমাত্রা একটু বাড়বে। তবে ২০ জানুয়ারি পর আবার তাপমাত্রা কমবে।

তিনি বলেন, খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাাত্রার এমন অবস্থা আরো কিছুদিন চলবে।