সারা বাংলা

শেরপুরে সংযোগ সড়কের অভাবে ভোগান্তিতে ২ গ্রামের মানুষ

শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার খড়িয়া কাজীর চরের বয়সা খালের ওপর মাদারপুর-গড়পাড়া সড়কের সেতু নির্মাণ হয়েছে প্রায় দুই যুগ আগে। কিন্তু ৬ বছর আগে ভাঙনের কবলে পড়ে এই সেতুর সংযোগ সড়ক। বর্তমানে সেতুতে যাতায়াতের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। এতে চরম ভোগান্তিতে আছেন দুই পাড়ের দুটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। এদিকে, সংযোগ সড়ক না থাকায় খালের ওপাড়ে হাজার একর জমি আবাদে কৃষকের কষ্টের সঙ্গে বাড়ছে খরচও। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০০৫-০৬ অর্থবছরে ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় সেতুটি। বর্তমানে সেতুটির বিভিন্ন অংশ ভালো থাকলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গ্রামবাসীর দাবি, সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হলে তাদের দুর্ভোগ অনেকাংশে কমে যাবে।

স্থানীয় কৃষক আশরাফ আলী বলেন, খালের দুই পাড়ের মানুষের যাতায়াত ও বৃহত্তর বয়শা বিলে আমাদের আবাদ করা ফসল ঘরে তোলার জন্য তৈরি করা হয় সেতুটি। সেতুর পূর্ব অংশের মানুষের প্রায় ৫০০ একর জমি বিলের মধ্যে। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে বাঁশের তৈরি চাং তৈরি করে চলাচল করছি। শুষ্ক মৌমুসেও থালের পানি বেশি থাকে, ফলে চলাচলে খুব কষ্ট হচ্ছে।

সাইফুল ইসলাম মানের স্থানীয় যুবক বলেন, খালের দুই পাশের প্রায় চার হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র পথ এটি। আমাদের শতাধিক শিক্ষার্থীর বিকল্প পথ না থাকায় অন্য ইউনিয়নে পড়ালেখা করে। এই সেতু এখন আমাদের গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্কুল শিক্ষার্থী ইমরান বলেন, স্কুলে যাওয়া আসার সময় আমার বাবা সাইকেল ঘাড়ে নিয়ে ব্রিজ পাড় করে দেন। আমার আসা যাওয়ায় অনেক কষ্ট হয়। দ্রতু সেতুটি তৈরি করলে আমাদের উপকার হতো।

খড়িয়া কাজীর চর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দুলাল মিয়া বলেন, আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে এ বিষয়ে বারবার বলেছি। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, কিন্তু কাজ শুরু হচ্ছে না।

শ্রীবরদী উপজেলা এলজিইডি ইঞ্জিনিয়ার মশিউর রহমান রাইজিংবিডিকে বলেন, সেতুটির দুই পাশে খাল শাসনের প্রয়োজন। খালের গতিপথ বদলে যাওয়ায় এমন হয়েছে। আমি সরজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো। এই প্রক্রিয়াটা একটু লম্বা সময়ের হয়। 

ছয় বছর পার হয়ে গেলেও সংযোগ সড়ক তৈরি করতে আর কত সময় লাগবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোনো উত্তর দেননি।