সারা বাংলা

গোপালগঞ্জে গম উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে ২২ হাজার টন

গোপালগঞ্জ জেলায় গম উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় সাড়ে ২২ হাজার টন। জেলায় ৫ হাজার ৩৪৫ হেক্টর জমিতে গম আবাদ করা হয়েছে। গম উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূর্ণ করতে প্রত্যেক কৃষককে ২০ কেজি করে গম বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি সার এবং ১০ কেজি করে এমওপি সার দেওয়া হয়েছে। এতে জেলায় গমের উৎপাদন এ বছর বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুল সরদার জানান, মুকসুদপুর উপজেলায় ৪ হাজার ২২৬ হেক্টরে, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ৪২৫ হেক্টরে, কাশিয়ানি উপজেলায় ৪৭২ হেক্টরে, কোটালীপাড়া উপজেলায় ১৩৭ হেক্টর জমিতে ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ৮৫ হেক্টর জমিতে গম আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে গোপালগঞ্জ জেলায় গম আবাদ শেষ হয়েছে। এখান থেকে অন্তত ২২ হাজার ৪৪৯ টন গম উৎপাদন হবে বলে আশা করেন তিনি।

গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার বণগ্রামের কৃষক বালা মোল্লা বলেন, ‘আগে গমে ব্লাস্ট রোগ হতো। তাই গম আবাদ করে লোকসান হতো। যে কারণে গম আবাদ ছেড়েই দিয়েছিলাম। সরকার প্রণোদনায় বীজ ও সার দিয়েছে। তাই কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত উচ্চফলনশীল জাতের গম পেয়ে আবাদ করেছি। গত বছর হেক্টরে ৪ দশমিক ২ থেকে ৪ দশমিক ৫ টন ফলন পেয়েছিলাম। এ সব গমে ব্লাস্ট রোগ নেই। তাই গমের অধিক ফলন পেয়ে লাভবান হই। এ বছর সরকারের প্রণোদনা পেয়ে ও নিজের খরচে ১ একর জমিতে গমের আবাদ করেছি। এ বছর ক্ষেতে গম ভালো দেখা যাচ্ছে। আশা করি ফলন ভালো পাব।’

গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক সঞ্জয় কুমার কুন্ডু বলেন, জেলার ৫ উপজেলায় গম আবাদ বৃদ্ধির জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ৩ হাজার কৃষককে বিনামূল্যে প্রণোদনার বীজ-সার বিতরণ করা হয়েছে। এ সব বীজ-সার দিয়ে কৃষক ৩ হাজার বিঘা জমি আবাদ করেছেন। এ কারণে গোপালগঞ্জে গমের আবাদ বেড়েছে। এ জেলায় গমের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।