গোপালগঞ্জে কনকনে শীত, ঘনকুয়াশা, এর সঙ্গে হিমেল হাওয়া বয়ে যাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আজ রোববার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় এ বছর জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
সকালে জেলা বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে, গত তিন দিন ধরে জেলায় সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। এতে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার পাশাপাশি হিমেল হাওয়া বয়ে যাওয়ায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। ঘন কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে সড়ক-মহাসড়ক দিয়ে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চালাচল করছে। তবে সবচেয়ে কষ্টে পড়েছে ছিন্নমুল ও খেটে খাওয়া মানুষেরা। অভাবের তাড়নায় শীত উপেক্ষা বাইরে বের হলেও গরম কাপড়ের অভাবে কষ্ট পাচ্ছে তারা। শীত নিবারণে গরম কাপড় কিনতে ছুটছেন পুরাতন কাপড়ের দোকানে। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। জেলা রেডক্রিসন্টের পক্ষ থেকে কম্বল বিতরণ করা হলেও তা ছিল প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
গোপালগঞ্জ আবহাওয়া অফিসের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবু সুফিয়ান জানান, আজ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আদ্রতা ছিল ৯৮ শতাংশ। এ সপ্তাহ জুড়ে শীতের প্রকোপ থাকবে। এরপর আস্তে আস্তে তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে।