সারা বাংলা

বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা বেড়েছে

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বোরো আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। জেলায় এবার বোরোর লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়েছে কৃষি কার্যালয়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গত বছর বোরো মৌসুমে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৫১ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। চলতি মৌসুমে ৫২ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১৩ হাজার ২২০ হেক্টর, শিবগঞ্জ উপজেলায় ৭ হাজার ৩৩০ হেক্টর, গোমস্তাপুর উপজেলায় ১৫ হাজার ৭২০ হেক্টর, নাচোল উপজেলায় ৯ হাজার ৬৮০ হেক্টর ও ভোলাহাট উপজেলায় ৬ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হবে। বোরো ধান আবাদের জন্য ৩ হাজার ৪৭০ হেক্টর জমিতে বীজতলা প্রস্তুত করেছেন কৃষকরা। ইতিমধ্যে চারা রোপনযোগ্য ও হওয়ায় কৃষক তার কার্যক্রম শুরু করেছে।

সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে উৎসাহ-উদ্দীপনায় বোরো আবাদের জন্য জমি প্রস্তুত করছেন কৃষকেরা। ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলার দিয়ে চলছে জমি চাষের কাজ। কোনো কোনো ক্ষেতে ধানের চারা রোপন চলছে পুরোদমে।

সেচনির্ভর বোরো চাষাবাদের জন্য গভীর, অগভীর, এলএলপি সেচযন্ত্র প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। জানা গেছে, জেলায় মোট সেচযন্ত্র রয়েছে ১৬ হাজার ৮৭৭টি। এরমধ্যে গভীর ১ হাজার ৬৫১টি, অগভীর ১৩ হাজার ৫৯৬টি, বিদ্যুৎচালিত এলএলপি ২৯৮টি ও ডিজেলচালিত ১ হাজার ৩৩২টি। তবে বরেন্দ্র অঞ্চলে বোরো চাষাবাদের জন্য ১ হাজার ৫২১ গভীর ও ৪২টি এলএলপি নলকূপ রয়েছে।

কৃষক ওয়াহিদুজ্জামান জানান, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সফলভাবে রোপা আমন ধান তোলা শেষ হয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় পোকার আক্রমণে রোপায় কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বোরো চাষে গুরুত্ব দিয়েছেন তারা।

কৃষক শহিদুল ইসলাম জানান,  গত বছর ১০ কাঠা জমিতে বোরো ধান রোপণ করে ১০ মণ ধান পেয়েছিলাম। প্রতিমণ ধান হাজার টাকায় বিক্রি করতে পেরেছিলাম। খড় বিক্রি করেছিলাম ৩ হাজার টাকার, খড় বিক্রির টাকায় আবাদের খরচ উঠে গেছে। এবার ২৫ কাঠা জমিতে বোরো ধান রোপণ করার জন্য জমি প্রস্তুত করছি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. পলাশ সরকার বলেন,  গত বছর জেলায় ৫১ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলে শেষ পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আবাদ হয়েছে ৫১ হাজার ৫৫৫ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৪০৫ হেক্টর বেশি। এবার ৫২ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবারও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।

 /শিয়াম/স্বরলিপি