পটুয়াখালীতে টিপ টিপ বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা। বেলা বাড়লেও ভেজা থাকছে সড়কগুলো। মিলছে না সূর্যের দেখা। দিনের বেলায় হেড লাইট জালিয়ে চলছে গাড়ি। ব্যাহত হচ্ছে লঞ্চ চলাচল।
এদিকে ঘন কুয়াশার সঙ্গে বইছে হিমেল হাওয়া। আজ মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল নয়টায় জেলায় সর্বনিম্ন ১২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে খেপুপাড়া আবহাওয়া অফিস।
এ সময় কুয়াশার মধ্যে দৃষ্টিসীমা ছিলো ৪০০ মিটার। ঘন কুয়াশা এবং হিমেল হাওয়ায় অনকেটা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে রয়েছে চরাঞ্চলের বাসিন্দাসহ নিম্ন আয়ের শ্রমজীবীরা। বেকায়দায় সাগরে অবস্থানরত মাছ শিকারী জেলেরা।
মহিপুর এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী মাহতাব মিয়া বলেন, আমার একটি ট্রলার ১৭ জন জেলেসহ গভীর সাগরে রয়েছে। গভীর সাগরে এখানের চেয়েও আর বেশি শীত অনুভূত হয়। শীত এবং ঘন কুয়াশার জেলেরা বেশ বেকায়দায় পড়েছেন।
একই এলাকার মাছ টানা শ্রমিক মিজান বলেন, এমনিতেই আমরা বরফ দেওয়া মাছ মাথায় করে টানি। তারপরও এত শীত পড়েছে যে এক বেলা মাছ টানার কাজ করলে অন্য বেলা একেবারে কাহিল হয়ে যাই।
খেপুপাপড়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জব্বার বলেন, শীত আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশা আরও কয়েকদিন বিরাজ করতে পারে।