রাতভর কুয়াশা ঝরে বৃষ্টির মতো। ঘন কুয়াশার সঙ্গে কনকনে শীতে কাবু পুরো জনপদ। তীব্র এই শীতে স্থবিরতা নেমে এসেছে পঞ্চগড়ের জনজীবনে।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে, রোববার একই সময়ে রেকর্ড হয়েছিলো ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এক সপ্তাহ পর গত দুইদিন দুপুরের দিকে সূর্যের দেখা মিলছে এ জেলায়। রোদ থাকলেও তেজ ছিল না তেমন। হিমেল বাতাসের মধ্যেই মাঠে-ঘাটে কাজ করছেন শ্রমজীবীরা। তবে সন্ধ্যার পর পরই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে ব্যস্ততম এলাকাগুলো।
এদিকে, হাড়কাঁপানো শীতে জুবুথুবু অবস্থা জনজীবনেও। কনকনে শীত আর হিমেল বাতাস সহজেই কাবু করছে এখানকার জনজীবন। দুর্ভোগ বেড়েছে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের। রাত থেকে সকাল অবধি ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকে পথঘাট। বিশেষ করে সন্ধ্যা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে।
অন্যদিকে, শীতের তীব্রতা বাড়ার কারণে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিনই শীতজনিত রোগীরা ভর্তি হচ্ছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশ শিশু। এ অবস্থায় শিশুদের বাঁশি খাবার পরিহার করা, খাবার ঢেকে রাখা এবং রাতে শিশুকে নিয়ে বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ্ বলেন, আকাশের উপরিভাগে মেঘ ও ঘন কুয়াশা থাকায় সূর্যের তাপ ভূপৃষ্ঠে আসছে না। ফলে শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে। আরও কিছুদিন এই এলাকায় একই রকম আবহাওয়া থাকতে পারে বলে তিনি জানান।