সারা বাংলা

আওয়ামী লীগ নেতা খুন, নারী আটক

ঝালকাঠি পৌর এলাকার ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রিপন মল্লিক (৫০) এর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। 

রিপন মল্লিক পৌর এলাকার মৃত আবদুল মল্লিকের ছেলে। তবে এটি হত্যাকাণ্ড বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনার সাথে পরকিয়ার কোনো কারণ থাকতে পারে ধারণা করছেন তারা। 

প্রতিবেশী সৌদি প্রবাসী কামাল হোসেনের স্ত্রী শিরিন আক্তারের ঘরে সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০ টায় রিপন মল্লিকের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর এসএম আল আমিন। 

তবে ওই নারীর সাথে রিপন মল্লিকের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো বলে জানিয়েছে স্থানীয় অনেকে। 

মৃতদেহ প্রতিবেশী সৌদি আরব প্রবাসী কামাল হোসেন এর বাসায় রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশকে খবর দেয়। মরদেহ রাতেই উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে শিরিন বেগমকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ, নিহতের স্বজন এবং স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কৃষ্ণকাঠি মল্লিক বাড়ির বাসিন্দা আওয়ামী লীগ নেতা রিপন মল্লিক প্রায়ই সৌদি প্রবাসী কামালের স্ত্রী শিরিন আক্তারের ঘরে আসা যাওয়া করতেন। শিরিনের ছেলে ইমন হোসেন গত ৪ দিন পূর্বে ঢাকায় যায়। শিরিন ঘটনার দিন তার ঘরে একা ছিলেন। 

প্রতিবেশী হারিছ হোসেন বলেন, ‘রাত সাড়ে ১০ টায় শিরিন তার ঘরের ভিতর থেকে ডাক চিৎকার দিচ্ছিলেন। এসময় আমিসহ আশপাশের মানুষ ঘরে ঢুকে দেখি রিপন মল্লিক অর্ধ উলঙ্গবস্থায় মেঝেতে পড়েছিলেন। সবাই মিলে তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানের ডাক্তার জানান রিপন মারা গেছে। তারপর আমরা রিপনের লাশ তার বাড়িতে পাঠিয়ে দেই।’

নিহত রিপনের ভাই সমির মল্লিক বলেন, ‘আমাকে স্থানীয়রা ফোনে জানায় আমার ভাইকে মেরে মাথা ফাটিয়েছে। তারপর আমি শিরিনের ঘরে এসে দেখি মেঝেতে রক্ত লেগে আছে। আর আমার ভাইকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে। তখন শিরিন তার ঘরেই বসা ছিলো।’

ঝালকাঠি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মো. মুহিতুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কাছে মনে হচ্ছে এটা হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনার সাথে পরকিয়ার কোন কারণ থাকতে পারে। ৯৯৯ এর মাধ্যমে তথ্য পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। এ ব্যাপারে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’