সারা বাংলা

কেসিসি’র অর্ধকোটি টাকা আত্মসাৎ, ৪ কর্মচারীকে চিঠি

খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) লাইসেন্স শাখার ৫৩ লাখ ৬২ হাজার ৯৪০ টাকা জমা না দিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। ওই শাখায় কর্মরত চার কর্মচারী এই অর্থ আত্মসাতে জড়িত বলে প্রমাণ মিলেছে। আত্মসাৎকৃত অর্থ হিসাব বিভাগে জমা দিতে তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে।

কেসিসি থেকে জানা গেছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ট্রেড লাইসেন্স বিভাগের ক্যাশ শাখা থেকে ২০৪টি এমবই গ্রহণ করে। ২০৪টি বইয়ের মধ্যে ১৯৩টি এমবই অডিট টিমের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাকি ১১টি বই জমা দিতে পারেনি লাইসেন্স শাখার কর্মচারীরা। এনিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে ওই চার কর্মচারীকে ১১টি এমবই জমা দিতে কয়েকবার চিঠি দেন। কিন্তু তারা বই জমা দেননি। পরে ওই ১১টি বইয়ের আওতায় জমা দেওয়া সমুদয় টাকা ওই ৪ জন কর্মচারীর কাছ থেকে আদায় করার সিদ্ধান্ত হয়।

গত ৯ জানুয়ারি কেসিসি’র সচিব স্বাক্ষরিত পৃথক চিঠিতে কেসিসির লাইসেন্স পরিদর্শক (বাণিজ্য) মনিরুল ইসলামকে ১৯ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ টাকা, কাজী মনজুর-উল-আলমকে ৯ লাখ ৭৫ হাজার ৮০ টাকা, শেখ শাহেদ হাসানকে ৯ লাখ ৭৫ হাজার ৮০ টাকা এবং মো. হাবিবুর রহমানকে ১৪ লাখ ৬২ হাজার ৬২০ টাকা জমা দিতে বলা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে আপনার নামে ইস্যুকৃত সিটি করপোরেশনের লাইসেন্স (বাণিজ্য) শাখার এমবই নং-এর ট্রেড লাইসেন্স ফি বাবদ প্রতিটির জন্য ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৫৪০ টাকা করে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে হিসাব বিভাগে জমা প্রদানের নির্দেশ প্রদান করা হলো।

কেসিসি’র প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সানজিদা বেগম বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এ কারণে আত্মসাৎ কৃত অর্থ জমা দিতে তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। যদি এরপরও তারা টাকা জমা না দেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।