সারা বাংলা

‘সিন্ডিকেটের’ নিয়ন্ত্রণে চালের বাজার

চাঁপাইনবাবগঞ্জে চড়া হচ্ছে চালের বাজার। ধানের মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে গত ৪ দিনের ব্যবধানে চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ১১ থেকে ১৫ টাকা। হঠাৎ চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও। 

জেলা শহরের হুজরাপুর পৌর চাউল বাজারে গিয়ে দেখা যায়, গত চারদিনের ব্যবধানে কেজি প্রতি চালের দাম বেড়েছে ১১ টাকা থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে মোটা চালের (লাল স্বর্ণা) দাম। 

চাল কিনতে আসা খদ্দেরদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, জিরা, বাশমতি, মিনিকেট চাল থেকে মুখ ফিরিয়ে তারা কম দামের লাল স্বর্ণা চাল কিনছেন। 

পাইকারি চাল বিক্রেতা বাবলু জানান, গত শুক্রবার মোটা চাল ৪৪ থেকে ৪৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে যা এখনও অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে চিকন চাল গত শুক্রবারে বিক্রি হয়েছিল ৪৯ থেকে ৫১ টাকায় এখন সেই চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬২ টাকায়। সরু চাল কেজিতে বিক্রি হয়েছিল ৫২ থেকে ৫৫টাকায় এখন বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়। বাজারে বাসমতি চালের দাম কেজিতে দুই টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮২টাকায়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে অর্ধশতাধিক অটো রাইস মিল রয়েছে। এখান থেকে প্রতিদিন প্রায় দেড়শো ট্রাকের বেশি চাল পাঠানো হয় দেশের বিভিন্ন পাইকারি বাজারে। প্রতি ট্রাকে প্রায় ১৮-২৫ টন চাল যায়। 

মিল মালিকদের দাবি- দিনদিন ধানের দাম বাড়ার কারণে চাল বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। দুই সপ্তাহ আগে জিরা ধান বিক্রি হয়েছিল সাড়ে ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা মণ দরে। এখন বাজারে ১৭০০ টাকা ছুঁই ছুঁই। নতুন আমন ধান সপ্তাহ তিনেক আগে বিক্রি হয়েছিল এগারোশো থেকে সাড়ে এগারোশো টাকায়। এখন সেই ধান বিক্রি হচ্ছে ১৩০০ থেকে সাড়ে ১৩০০ টাকায়। 

চাঁপাইনবাবগঞ্জের অটো রাইস মিল মালিক সমিতির সভাপতি হারুন-অর-রশিদ জানান, ধানের দাম বৃদ্ধির কারণে চালের দাম বেড়েছে। এখানে কোন সিন্ডিকেট নেই। 

চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা বাজার কর্মকর্তা মো. মনোয়ার হোসেন জানান, মজুতদারেরা গোডাউনে মজুত করে চালের দাম বাড়াচ্ছেন। নিয়মিত বাজার তদারকির মাধ্যমে তাদের সতর্ক করা হচ্ছে।