সারা বাংলা

কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত লালমনিরহাটের মানুষ

মাঘ মাস শুরুর আগে থেকেই উত্তরের জেলা লালমনিরহাটে জেঁকে বসেছে শীত। ঘন কুয়াশা থাকায় সূর্যের দেখা মেলেনি গত ১১ দিনেও। এর ফলে, দিনের বেলাতেও হেডলাইন জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করছে সড়ক-মহাসড়কে। প্রয়োজন ছাড়া ঘর ছাড়ছেন না অনেকেই। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ৬টার দিকে লালমনিরহাটে তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয় ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

এবারের শীতে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর, খেটে-খাওয়া নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঠান্ডা থেকে বাঁচতে এসব অসহায় মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও তা চাহিদার তুলনায় ছিল কম। 

জেলার তিস্তা ও ধরলাসহ কয়েকটি নদীর চরাঞ্চল এবং নদী তীরবর্তী লোকালয়ের মানুষও ঠান্ডার কারণে কষ্ট পাচ্ছেন। শিশুসহ বয়স্করা আক্রন্ত হচ্ছেন নানা রোগে। এতে হাসপাতালের ইনডোর-আউটডোরে ভিড় দেখা গেছে সেবাগ্রহীতাদের। 

লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের তিস্তা চরাঞ্চলের বাসিন্দা আজাদুর রহমান (৫২) বলেন, ‌‘ঠান্ডাত কষ্টের আর শ্যাষ (শেষ) নাই। ঠান্ডাত আবাদ সুবাদ সউগ (সব) শ্যাষ হয়া যাবার নাগছে! ঠান্ডাত জীবন বাঁচে না, আর কি কাম করমো (করবো)।’

লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, জেলার অসহায় ও নিম্নআয়ের মানুষদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে পাচ উপজেলায় ২৬ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আরো ৫০ হাজার কম্বলের চাহিদা পাঠানো হয়েছে।